আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

২০১৮ এর চ্যালেঞ্জিং প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের স্বাস্থ্যকর রাজস্ব ও রাজস্ব প্রবৃদ্ধি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৭-১৬ ১৯:০২:২০

গ্রামীণফোন লিঃ ৬ কোটি ৯২ লক্ষ গ্রাহক নিয়ে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ শেষ করেছে, এসময় প্রবৃদ্ধি ছিল গতবছরের তুলনায় ৫.৯% বেশি। ডাটা গ্রাহক বা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ যা মোট গ্রাহকের ৪৯.৯%।

২০১৮ এর প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৩৮০ কোটি টাকা যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.২% বেশি। ডাটা থেক অর্জিত রাজস্বের প্রবৃদ্ধি ছিল ২১,১% আর ভয়েস থেকে অর্জিত রাজস্বের প্রবৃদ্ধি হয় ২.৪%। গত প্রান্তিক থেকে অনুসৃত নতুন অ্যাকাউন্টিং নিয়মাবলীকে আমলে নিয়ে গত বছরের তুলনায় আমাদের মোট রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৬%।

একনজরে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ

১. জুন ২০১৮ এর শেষে মোট গ্রাহকসংখ্যা ৬ কোটি ৯২ লক্ষ, যার মধ্যে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
২. রাজস্ব আয় ৬৩৮০ কোটি টাকা, আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১.২%
৩. কর পরবর্তী নেট মুনাফা ২৬ % মার্জিন সহ ১৭২০ কোটি টাকা, ইপিএস ১২.৭৪ টাকা
৪. ৪জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ ২৫৪০ কোটি
৫. টাকারাষ্ট্রীয় কোষাগারে অবদান ৪৭৯০ কোটি টাকা

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন," বিরূপ আবহাওয়া এবং তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ ছিল খুবই কঠিন।তবুও আমরা স্বাস্থ্যকর প্রবৃদ্ধি এবং মার্জিন বজায় রাখতে পেরেছি।" তিনি আরো বলেন,"আমরা ২০ লক্ষ ৪জি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রম করেছি এবং গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা দিতে আমাদের নেটওয়াক বিস্তার ও আধুনিকায়নের কাজ পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলছে। আমাদের সুসংহত ভয়েস ও প্রতিযোগিতামূলক ডাটা অফার গ্রাহকদের কাছে আকর্ষনীয় হয়েছে।"

বছরের প্রথমার্ধে কর পরবর্তী নেট মুনাফা হয়েছে ২৬ % মার্জিন সহ ১৭২০ কোটি টাকা। এই সময় শেয়ার প্রতি আয়, অর্থাৎ ইপিএস ১২.৭৪ টাকা হয়েছে।

গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন,"বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের ইবিআইটিডিএ এবং মার্জন দুটোই বেড়েছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আমরা ইতিবাচকভাবে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ শেষ করতে পেরেছি। " তিনি আরো বলেন," আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে গ্রামীণফোনের বোর্ড পরিশোধিত মূলধনের ১২৫% অন্তবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছেন।"

গ্রামীণফোন লিঃ ৪জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বছরের প্রথমার্ধে বিনিয়োগ করেছে ২৫৪০ কোটি টাকা । এই সময়ে কোম্পানি কর, ভ্যাট, শুল্ক, স্পেকট্রাম বরাদ্দ, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ও লাইসেন্স ফে আকারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অবদান ৪৭৯০ কোটি টাকা প্রদান করেছে যা মোট রাজস্বের ৭৪.৭%।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন