Sylhet View 24 PRINT

আতা ফলের পাতায় মরবে মশা, দাবি বিজ্ঞানীদের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-০৩ ১১:৫৫:০৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: চারিদিকে যখন মশা নিয়ে আতঙ্ক, তখন মশা মারতে ভেষজ ধূপ তৈরি করছেন ভারতের একদল বিজ্ঞানী। এই গবেষণায় দেশটির বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের গবেষকরা সাফল্য পেয়েছেন।

এর আগে ন্যানো টেকনোলজি প্রয়োগ করে মশার লার্ভা নিধনে সাফল্য পেয়েছিলেন এখানকার গবেষকরা। এবার মশককূলের বিনাশে ভেষজ ধূপ তৈরি করেছেন তারা। তারা বলছেন, ধূপগুলির কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ধূপের ধোঁয়ায় মারা যাবে মশা। একইসঙ্গে ধূপে ব্যবহৃত উপাদানের সাহায্যে মশার লার্ভাও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব করেছেন গবেষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক গৌতম চন্দ্র এনিয়ে বহু গবেষণায় সাফল্য পাওয়া বিজ্ঞানী। তাঁর নেতৃত্বে বর্ধমান মহিলা কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত মল্লিক মশা নিধনে এই ভেষজ ধূপ তৈরিতে সাফল্য পেয়েছেন। আতা ফলের এক ধরনের প্রজাতির পাতা থেকে তৈরি হয়েছে এই মশা বিনাশকারী ধূপ। নোনা আতার বৈজ্ঞানিক নাম অ্যানোনা রেটিকুলাটা (Annona Reticulate)। ইংরেজিতে ‘কাস্টার্ড অ্যাপেল’ বলা হয়ে থাকে।

গৌতম জানান, ‘এই আতার পাতা গুঁড়া করে তার সঙ্গে কাঠের গুঁড়া ও চারকোল পাউডার মেশানো হয়। তারপর বেলের আঠা বা বেল গাছের আঠা মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করা হয়। লেই বানিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে শুকিয়ে নিতে হবে। প্রতিটি টুকরোর ওজন চার গ্রামের মতো হবে। সাধারণ মাপের একটি ঘরে এই টুকরো জ্বালালে মশার জ্বালা থেকে মুক্তি নিশ্চিত।

গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন, নোনা আতার পাতার নির্যাস মশার লার্ভা ও পিউপা নিধনে সহায়ক। আবার যে পানিদে মশা ডিম পাড়ে, সেখানে আতা ফলের পাতার নির্যাস ঢেলে দিলে আর তারা ডিম পাড়তে চায় না। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে তা প্রমাণিতও হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ ঘনফুট মাপের কাচের পরীক্ষাগার রয়েছে। সেখানে ১০০টি স্ত্রী মশা ছেড়ে দিয়েছিলেন গবেষকরা। তারপর ওই হার্বাল ধূপের একটা টুকরো জ্বালিয়ে দেন। প্রায় ২৫ মিনিট ধূপটি জ্বলে। তাতেই সবকটি স্ত্রী মশা নিচে পড়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সবগুলিই মারাও যায়। এই গবেষণায় স্ত্রী মশা বেছে নেওয়ার কারণ একটাই। তারাই একমাত্র মানুষের দেহ থেকে রক্ত চুষে খায়।

তবে এই ভেষজ ধূপ তৈরিতে সময় লাগে কিছুটা। নোনা আতার পাতা সংগ্রহ করে তা শুকাতে ১৫ দিন মত সময় লাগে। পাতা শুকালে তা মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিয়েছিলেন গবেষকরা। তারপর অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে ধূপ তৈরি করেন। গৌতম বলেন, “এই ভেষজ ধূপ তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারচলতি রাসায়নিক ধূপের মত ক্ষতিকারক নয়। আবার মশার বিনাশে খুবই কার্যকরী।”

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

সৌজন্যে : বিডি প্রতিদিন

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩ আগস্ট ২০১৯/মিআচ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.