পাকিস্তানে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়...

আসমা রানি। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কোহাত এলাকার বাসিন্দা। ওই প্রদেশের অ্যাবোটাবাদ মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল সে। ছুটিতে নিজের বাড়ি কোহতে ফিরেছিল আসমা। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতেই বাড়ি ফেরা। কিন্তু বাড়িতে এসে ফিরতে হল লাশ হয়ে। মূলত, স্থানীয় এক যুবকের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নৃশংসভাবে খুন হতে হল আসমাকে।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন কোহাত পুলিশের কর্মকর্তা গুলের বরাত দিয়ে জানায়, স্থানীয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক নেতার আত্মীয় মুজাহিদ আফ্রিদি আসমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আসমা তাতে রাজি হননি। আসমাকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য তাঁর পরিবারকে চাপ দিতেন মুজাহিদ।

তিনি বলেন, গত শনিবার আসমা তাঁর এক বোনের সঙ্গে বাড়িতে পৌঁছান। মুজাহিদ এবং তাঁর সহযোগী সাজিদ আসমাকে দেখামাত্র গুলি ছোঁড়ে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। আসমার শরীরে তিনটি গুলি লেগেছিল বলে জানায় পুলিশ।

পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আসমা।

মৃত্যুর আগে হাসপাতালে আসমা জানায়, মুজাহিদই তাঁকে গুলি করেছে।

কোহাতের পুলিশ কর্মকর্তা আব্বাস মাজিদ জানান, পাকিস্তানের দণ্ডবিধি অনুযায়ী মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। তাঁকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।