আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

ত্রিভুবনে ফের দুর্ঘটনা, রক্ষা পেলেন ১৩৯ আরোহী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২১ ০০:৪০:৩৫

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর সেই ত্রিভুবন বিমানবন্দরে আবারও দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। বৃহস্পতিবার রাতের এ দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বিমানে থাকা ১৩৯ আরোহী। ফলে বিমানবন্দরটি প্রায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শুক্রবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আবারও চালু করা হয়েছে। খবর কাঠমান্ডু পোস্ট।

খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়ার মালিন্দো এয়ারলান্সের একটি বিমান উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই রানওয়ে থেকে বিমানটি ছিটকে যায় বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ।

খবরে আরো বলা হয়েছে, চাকা পিছলে বিমানটি ছিটকে পড়লেও বড় ধরনের কোনো বিপত্তি ঘটেনি। কেবল মালিন্দো এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমান-৭৩৭ বিমানটির চাকা কাঁদার মধ্যে আটকা পড়ে। বিমানটিকে সেখান থেকে সরানোর জন্য সেসময় বিমানবন্দরে অন্যান্য বিমানের উঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়। এতে বাইরে থেকে যেসব ফ্লাইট ওই বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল সেগুলোও অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়।

বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজ কুমার ছেত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মালয়েশিয়ার ওই বিমানটি কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করছিল। কিন্তু বিমান উড্ডয়নের সময় বিমানের পাইলট বিমানের মনিটরে ককপিটে অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পায়। এরপরই বিমানটি ছিটকে রানওয়ে থেকে ৫০ মিটার ছিটকে দূরে কাঁদার মধ্যে আটকে যায়।

তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। রাজ কুমার ছেত্রী বলেন, বিমানটি তাৎক্ষণিকভাবে গতি, ওজন ও চূড়ান্ত উড্ডয়নের সময় হওয়ায় থামানো যায়নি। ফলে রানওয়ে থেকে ছিটকে গেছে। তবে বিমানের সব আরোহীই নিরাপদে আছেন। এ ঘটনায় বিমানেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে নিরাপত্তার জন্য বেশকিছু ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

এ ঘটনার মাত্র একমাস আগেই ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। এর আগে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে তুর্কিস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ওই একই বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে চারদিন ধরে বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন