আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিলেন এরদোয়ান

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-১৫ ২০:৫০:০৩

খ্রিষ্টান এক যাজককে গুপ্তচর সন্দেহে আটকে রাখার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আপস বা নতি স্বীকারের পরিবর্তে 'ঢিলের বদলে পাটকেল মারার' পথ নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

গত শুক্রবার হঠাৎ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তুরস্কের ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত টুইট করে ঘোষণা করলে রাতারাতি তুরস্কের মুদ্রা লিরার ধস নামে। দুই দিনেই লিরার মূল্যমান ২০ শতাংশ পড়ে যায়।

কিন্তু তারপরেও এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের ভীতি বা দুর্বলতা প্রকাশের কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছেন না তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

গত কদিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রুদ্ধ ভাষায় আক্রমণের পর, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আজ বুধবার পাল্টা ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা গাড়ি, মদ এবং তামাকের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করার একটি নির্বাহী নির্দেশে সই করেছেন তিনি।

গাড়ির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২০ শতাংশ করা হয়েছে, মদ আমদানির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৪০ শতাংশ এবং তামাকের ওপর ৬০ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা চাল, কয়লা এবং প্রসাধন সামগ্রীর ওপরও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়া, যে ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে ন্যাটো জোটের দুই সদস্য দেশের মধ্যে অভাবনীয় বৈরিতা শুরু হয়েছে, সেই খ্রিষ্টান যাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসনকে জামিন দেয়ার এক আবেদন বুধবার খারিজ করে দিয়েছে তুরস্কের একটি আদালত।

২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই খ্রিষ্টান যাজককে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ৩৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে ব্রানসন নিজে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বার বার দাবি করেছে, তুরস্কের অভ্যুত্থানের সঙ্গে তার কোনোই সম্পর্ক ছিল না।

নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন সূত্র বলছে, তার মুক্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে টেলিফোন করে এরদোয়ানকে একাধিকবার অনুরোধ করলেও, তা তোয়াক্কা করেননি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

শুল্ক বাড়ানোর জেরে সোমবার লিরার মূল্য রেকর্ড নিচুতে নেমে যাওয়ার পরও আপসের কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না তুরস্কের সরকার।

তবে দুই দিন আগে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তারল্য সঙ্কট মেটানোর জন্য 'যা প্রয়োজন সব কিছু করার' প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর লিরার দর দুই দিন ধরে কিছুটা বেড়েছে, তবে অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্ক কমেনি।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন