আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

যে কারণে পাকিস্তানিদের পনির খাওয়া বন্ধ করছেন ইমরান খান!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-১২ ০০:৪৫:০৭

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর দেশটির পানির সমস্যা মেটাতে অর্থ সাহায্যের আবেদন করেন প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছে। যাতে সেই অর্থ দিয়ে পাকিস্তানের বাঁধ ও জলাধারগুলোর সংস্কার করে উন্নতি সাধন করা যায়।  আর এবার তিনি দাবি করছেন যে, পাকিস্তান ঋণের বোঝায় আক্রান্ত। আর সেই ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে পনির!

রয়টার্সে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের ইকোনমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল এক আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বিভিন্ন বিলাসবহুল জিনিসের আমদানি বন্ধ করা হবে পাকিস্তানে। আর এসব জিনিসের তালিকায় রয়েছে স্মার্টফোন ও পনির। আচমকা পনির নিষিদ্ধ হওয়ার কথায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে পাকিস্তানিদের মধ্যে।

পনির নিষিদ্ধ করে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে পাকিস্তানের অর্থনীতি, সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না অনেকে। ওমর কুরেশি নামে এক পাকিস্তানি রীতিমত হিসেব-নিকেশ কষে দেখিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৩৭.৭ বিলিয়ন ডলার। আর পাকিস্তানের মোট পনির আমদানি হয় ১৩ মিলিয়ন ডলারের, যা নাকি ঘাটতির তুলনায় মাত্র ০.০৩৪৪ শতাংশ। তাই পনির ব্যান করে পাকিস্তান কতটুকু লাভের মুখ দেখবে, কার্যত সেই প্রশ্নই তুলে ধরেছেন তিনি।

এদিকে, এক পাকিস্তানি অর্থনীতিবিদ আশফাক হাসান খান বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রচুর বিদেশি পনির আসছে। বাজার ভরে গিয়েছে বিদেশি পনিরে। যে দেশের কাছে ডলার নেই, সেই দেশের পক্ষে কি বিদেশি পনির খাওয়াটা মানায়?’

এদিকে, দেশটিতে নতুন বাঁধ ও জলাধার নির্মাণের জন্য প্রয়োজন বিপুল অঙ্কের অর্থ। যা পাকিস্তান সরকারের হাতে নেই। সেই অর্থাভাব মেটাতেই ইমরান খানের সাহায্যের এই আরজি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
পাকিস্তানের পানির সমস্যা মেটাতে ও কৃষিকাজে গতি আনতে বেশ কয়েকটি বাঁধ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেজন্যই প্রবাসী নাগরিকদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

সম্প্রতি পাকিস্তানের এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, বাঁধ ও জলাধার নির্মাণ করতে গেলে এখন পাকিস্তানের প্রয়োজন কয়েক বিলিয়ন ডলার। যার জন্য তাঁর ভরসা প্রবাসী পাকিস্তানিরা। তাদের প্রত্যেকের কাছে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন যে, পাকিস্তানকে যেন তাঁরা অর্থ সাহায্য করেন। এর আগে, পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন, পাকিস্তানের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন তার সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে কাজ করতে চাইছে পাক সরকার।


শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন