আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

তেরেসা মের ব্রেক্সিট চুক্তি পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যান

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০১-১৬ ১২:৩৪:৫০

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের ব্রেক্সিট চুক্তি পার্লামেন্টে ২৩০ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে কোনো ক্ষমতাসীন সরকারের সবচেয়ে বড় হার বলে মনে করা হয় এটিকে।

৬৫০ সদস্যের পার্লামেন্টে ৪৩২ এমপি চুক্তির বিপক্ষে ও ২০২ জন পক্ষে রায় দিয়েছেন। ২৯ মার্চ ইউরোপ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার শর্ত ছিল চুক্তিটিতে।

লেবার নেতা জেরেমি করবিন সরকারের অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে ব্রিটেন ফের সাধারণ নির্বাচনের দিকে যেতে পারে। বুধবার এই অনাস্থা ভোট হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এ হার তেরেসা মে সরকারের জন্য বড় আঘাত। ইউরোপের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে নানা যুক্তিতর্কে দুই বছর পার করে দেয়া হয়েছে।

আগামী ২৯ মার্চ ব্রিটেন থেকে ভালোয় ভালোয় বিদায় নিতে এ পরিকল্পনাটি নেয়া হয়েছিল। একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করতে আলোচনার জন্য ২১ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গত বছরের ডিসেম্বরেই এ ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এমপিদের সমর্থন পেতে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা ভোট অনুষ্ঠানে বিলম্ব করেছেন।

মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভোটের এ ফলে অর্ধ শতকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়া দেশটির অনিশ্চয়তা আরও বাড়ল।

তেরেসা মের রক্ষণশীল দলের অনেকের বিপক্ষে ভোট দেন। লেবার পার্টি ও ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের এমপিরা তো ছিলেনই।

ভোটের ফলের পর লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, এটি সরকারের জন্য বিপর্যয়কর পরাজয়।

এখন তেরেসা মের সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে, একটি হলো- তিন দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে নতুন আরেকটি চুক্তির খসড়া তোলা। অন্যটি হচ্ছে- ইইউর দেয়া চূড়ান্ত সময়সীমা ২৯ মার্চ থেকে আবার বাড়িয়ে নেয়া।

আর তা না হলে আগামী ২৯ মার্চ এক রাতেই ইউরোপের ২৭ দেশের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে বড় ধরনের সংকটে পড়তে হবে যুক্তরাজ্যকে।

২০১৬ সালের ২৩ জুন যুক্তরাজ্যে এক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দেশটির চার দশকের সম্পর্কোচ্ছেদের রায় হয়। পৌনে দুই কোটি ভোটারের ৫২ শতাংশ ভোট দিয়েছিল ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে; তাদের কথা ছিল- ইইউর অন্য দেশগুলোকে টানতে গিয়ে তাদের পাউন্ড খরচ হয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে ৪৮ শতাংশের ভোট ছিল ইউরোপের আরও ২৭ দেশের জোটে থেকে যাওয়ার। ওই ভোটে হারের পর তারা পুনরায় গণভোটের দাবিও তুলেছিল, তবে তা ঘটেনি।

লিব ডেম নেতা স্যার ভিন্স ক্যাবল বলেন, তেরেসা মের এ পরাজয় ব্রেক্সিটের শেষের শুরু।

সৌজন্যেঃ যুগান্তর

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন