Sylhet View 24 PRINT

রক্তাক্ত কুরআন কথা বলবে সেদিন!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-১৯ ১২:৩১:৫৪


উগ্রবাদী সন্ত্রাসীর হামলায় সেদিন রক্তের বন্যা বয়ে গেছে পুরো ক্রাইস্টচার্চে! মসজিদের ফ্লোর থেকে রক্তের স্রোত চলে গেছে রাস্তায়! মসজিদের মেঝে কিংবা রাস্তা পরিষ্কার করে মুছে ফেলা হবে কিংবা এতক্ষণে মুছে ফেলা হয়েছে রক্তের দাগ।
কিন্তু এই পবিত্র কুরআন যে হয়ে গেল ইমানদারদের রক্তের সাক্ষী! সব দাগ মুছে ফেলা যাবে। কিন্তু এই দাগ কেউ মুছতে পারবে না। এই রক্তাক্ত কুরআন সেদিন (শেষ বিচারের দিন) সাক্ষ্য দিবে- আল্লাহ তোমার হুকুম পালন করতে এসেই তোমার দুশমনের নৃশংসতার শিকার হয়েছেন তারা।

পাঠক, নিশ্চয় বুঝে গেছেন কোন ঘটনার কথা বলা হচ্ছে। হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর ও লিনউড মসজিদের কথা বলা হচ্ছে। যেখানে বর্বর, উগ্র ও উম্মাদ সন্ত্রাসীর হত্যার নেশার শিকার হয়েছেন অন্তত ৪৯ জন মুসলিম। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে দুনিয়ার ঘর কিংবা চিরস্থায়ী (কবর) ঘরে ফেরার প্রহর গুণছেন আরো ৪৮ জন।

শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের ওই দুটি মসজিদে ভয়াবহ হামলায় যে রক্তের বন্যা বয়ে গেছে তা থেকে রেহাই পায়নি পবিত্র আল কুরআনও। আল্লাহর মেহমানদের রক্তে সিক্ত হয়ে মহাকালের সাক্ষী হয়ে থাকলো।

এই কুরআনেই আল্লাহ বলেছেন, ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝতে পারো না।’ (সুরা বাকারা-১৫৪)

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ডানপন্থী উগ্রবাদী সন্ত্রাসী ব্রেনটন টারান্ট ওই দিন আল নুর মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান থেকে নির্বিচার গুলি চালায়। এতে ৪১ জনের মৃত্যু হয়। শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি টারান্ট, বরং ওই হত্যাযজ্ঞের ১৭ মিনিটের ঘটনা সরাসরি লাইভ প্রচার করেছে।

অন্যদিকে, প্রায় কাছাকাছি সময়ে পার্শ্ববর্তী লিনউড মসজিদেও হামলা চালানো হয়। এতে সাতজন নিহত হয়। আর উভয় হামলা মিলে ৪৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মনে করা হচ্ছে।

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১৯ মার্চ ২০১৯/মিআচ

সৌজন্যে:নিউজ ২৪ লাইভ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.