Sylhet View 24 PRINT

ফেসবুকে যেভাবে ৯০ লাখ টাকা হারালেন হতভাগা নারী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-২৬ ১৯:০১:০৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: স্বামী গত হয়েছেন বেশ কিছুদিন হলো। তাই অবসর সময়টা ফেসবুকেই কাটাতে থাকেন তিনি। ফেসবুকে হঠাতই পরিচয় হয় এক ব্যক্তির সঙ্গে।

লাইক, কমেন্ট ও চ্যাটিংয়ের এক পর্যায় ভাব বিনিময় দুজনার। শুরু হয় নিয়মিত আলাপ। আর সেই আলাপের খেসারতে সেই নারীর খোয়া গেল ৯০ লাখ টাকা।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গড়িয়াহাটে।

এ বিষয়ে গত ২৩ মার্চ কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ ইউনিটে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, ২০১৭ সালের এপ্রিলে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন বিশাখাদেবী নামের ওই নারী। ২০১৮ সালের শেষ দিকে মণীশ কুমার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তার।

বিশাখাদেবী বলেন, মণীশ কুমার নিজেকে ইংল্যাণ্ডের বাসিন্দা ও তিনি একজন পাইলট বলে পরিচয় দেন। এভাবে ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াসটআপে আলাপচারিতা বাড়তে থাকে।

একদিন হঠাতই মণীশ জানায়, তার জন্য প্রসাধনী সামগ্রীর একটি পার্সেল উপহার পাঠানো হয়েছে। যা ছাড়িয়ে আনতে শুল্ক হিসেবে নির্দিষ্ট একটি অ্যাকাউন্টে ৪৫ হাজার টাকা জমা করতে হবে।

গত ৮ মার্চ মণীশের কথামতো নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা করেন বিশাখা। এর একদিন পরেই মণীষ জানান, পার্সেলটি প্রসাধনী সামগ্রীর নয়, ৭০ হাজার ডলার মূল্যের গয়না পাঠিয়েছেন তিনি।

শুল্ক দফতরকে ফাঁকি দিতেই তিনি এ কাজটি করেছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু শুল্ক কর্মকর্তার বিষয়টি জেনে গেছে। যেকারণে পার্সেল ছাড়াতে এখন স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে টাকা দিতে হবে ৯০ লাখ টাকা।

আর লোভে পড়ে বিশাখাও মণীষকে বিশ্বাস করে মোট ৯০ লাখ টাকা জমা দেন। এর পরে পার্সেল আর আসেনি। তিনি বুঝতে পারেন এতোদিন বড়রকমের প্রতারকের সঙ্গে গল্প করে যাচ্ছিলেন।

কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গেছে, মণীশের কথা বিশ্বাস করে ১১টি আলাদা আলাদা ব্যাঙ্কে ৮৯ লাখ জমা করেন ওই নারী। প্রতারক মণীষকে খুজেঁ বের করার চেষ্টা চলছে।


সিলেটভিউ ২৪ডটকম/২৬ মার্চ ২০১৯/গআচ

সৌজন্যে: যুগান্তর

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.