Sylhet View 24 PRINT

বিদ্যালয়ে চোর ধরতে চালপড়া খেয়ে গুরুতর অসুস্থ ৫০ শিক্ষার্থী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১৬ ১০:৫৭:৩২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: চোর ধরতে গিয়ে ঘটল বিপত্তি। মন্ত্রপড়া চাল খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্রাথমিক স্কুলের ৫০ শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের গোহগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। 

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হতেই পালিয়েছে অভিযুক্তরা।
মঙ্গলকোটের পোহগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র জাকির খান। শুক্রবার স্কুলে তার নতুন জ্যামিতি বক্সটি হারিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে যথারীতি ঘটনাটি জানায় সে। শিক্ষার্থীরা জানায়, শনিবার স্কুল খোলার কিছুক্ষণই পর হাজির হন জাকিরের মা মরিয়ম। জাকিরের সহপাঠীদের বলেন, জ্যামিতি বক্স কে চুরি করেছে, তা খুঁজে বের করার জন্য চালপড়া খেতে হবে। আর যে খেতে চাইবে না, তাকে চোর বলে ধরে নেবেন। ভয় পেয়ে চালপড়া খেয়েও নেয় জাকির খানের সহপাঠীরা।

জানা গেছে, চালপড়া খেয়েছিল পোহগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ জন। ঘণ্টা খানেক বাদে বমি করতে শুরু করে বেশ কয়েকজন। একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে সকলেই। এদিকে ততক্ষণে বাড়ি চলে গেছে অভিযুক্ত মরিয়ম বিবি। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় স্কুলে। তড়িঘড়ি একটি গাড়িতে করে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন প্রধান শিক্ষক।

খবর পেয়ে পোহগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান মঙ্গলকোট থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত। ঘটনাস্থলে প্রতিনিধিকে পাঠান বিডিও। স্কুলের বাইরে ভিড় জমান অভিভাবকরাও।

এদিকে সহপাঠীরা যখন পেটের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, তখন স্কুল থেকে সোজা বাড়ি চলে যায় জাকির। ছেলের মুখ থেকে সব কিছু জানার পর পালিয়েছে অভিযুক্ত মারিয়ম বিবিও।

কিন্তু ক্লাস চলাকালীন স্কুলে ঢুকে কীভাবে শিক্ষার্থীদের চালপড়া খাইয়ে গেলেন মারিয়ম?

এ বিষয়ে পোহগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলের জুতা বিলির অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তাই ঘটনাটি সম্পর্ক কিছু জানেন না।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১৬ জুন ২০১৯/মিআচ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.