Sylhet View 24 PRINT

আইসিজের সিদ্ধান্ত মিয়ানমার যেন এড়িয়ে যেতে না পারে: জাতিসংঘ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-২৩ ১৮:১৩:৫২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বলেছেন, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) সিদ্ধান্ত মিয়ানমার যেন এড়িয়ে যেতে না পারে, সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সফর শেষে ওই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকালেই আইসিজেতে উল্লিখিত বিচারের রায় ঘোষণা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রায়ের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত বলেন, এ বিষয়ে কী হবে- তা নিয়ে কোনো ধারণা করতে চাই না আমি। তবে আমি এতটুকু বলতে পারি, যে সিদ্ধান্তই হোক, মিয়ানমারের উচিত হবে- তা মেনে নেয়া। পাশাপাশি সংকট নিরসনে মিয়ানমার যাতে দায়িত্বে অবহেলা না করে, তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাজ করতে হবে। মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে ইয়াং হি লি ১৫ থেকে ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সফর করেছেন। তিনি থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ সফরে আসেন। বাংলাদেশ সফরকালে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইয়াং হি লি। জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত গত বছরের জানুয়ারি মাসে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। সে সময় তিনি থাইল্যান্ডও সফর করেন।

তবে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে বেশ কয়েকবার মিয়ানমার সফরে যেতে চাইলেও সে দেশের সরকার তাকে প্রবেশে অনুমতি দেয়নি।

সফরের শেষ দিন রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে ডাকা তার এ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (রোহিঙ্গা ইস্যুতে) চীন-রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য জানতে চান।

জবাবে তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও চীনের ভূমিকা লজ্জাজনক। নিরাপত্তা পরিষদে তাদের প্রতি যে দায়িত্ব ছিল, তা পালনে তারা ব্যর্থ হয়েছে। চীন এখন বিশ্ব নেতৃত্বের জায়গায় যেতে চলেছে। বিশ্ব নেতৃত্ব দিতে হলে মানবাধিকারকে সম্মান দিতে হবে।

জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত নির্যাতনের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে নতুন একটি অ্যাডহক আন্তর্জাতিক আদালত স্থাপন করা দরকার। আগামী মার্চে জেনেভাতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে আমি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেশ করব। সেখানে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখব।

তিনি আরও বলেন, সিয়েরালিওন, রুয়ান্ডা বা বসনিয়া হার্জেগোভিনায় যেভাবে গণহত্যার বিচার হয়েছে, এ ক্ষেত্রেও একই ধরনের সুপারিশ করব আমি।

উল্লেখ্য, গত ৬ বছর ধরে মিয়ানমারের বিষয়ে র‌্যাপোটিয়ার হিসেবে কাজ করছেন ইয়ান হি লি। এ বছরের মার্চে তার চুক্তি শেষ হচ্ছে। মার্চেই জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে তিনি রোহিঙ্গাদের নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। প্রতিবেদন জমা দেয়ার আগে এটাই তার বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে শেষ সফর।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালায় তারা। ওই সময় জীবন বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এ পর্যন্ত সাড়ে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ জানুয়ারি ২০২০/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.