Sylhet View 24 PRINT

মুসলিমবিদ্বেষী দাঙ্গাবাজরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বা রুবিনাকেও

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০২-২৭ ২০:০৮:৪১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নির্দোষ বেশ কিছু নারী, পুরুষ এবং শিশু ভয়াবহ মারধরের শিকার হয়েছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে-বিপক্ষের বিক্ষোভে অংশ না নিলেও ধ্বংসযজ্ঞের মাঝে পড়ে নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঘটনা ভুলতে পারছেন না অনেকে। নির্দোষ হয়েও মুসলিমবিদ্বেষী কট্টর হিন্দুত্ববাদী দাঙ্গাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাননি গর্ভবতী নারীও।

রুবিনা বানু এমনই একজন নারী। দিল্লির চাঁদবাগের বাসিন্দা। তিনি তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা। রানু বলেছেন, দাঙ্গার দ্বিতীয় দিন সোমবার তিনি স্কুল থেকে ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে আসার জন্য বাইরে বের হয়েছিলেন। বাড়ি থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর পুলিশের পুরুষ সদস্যরা ঘিরে ধরে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন তাকে।

রুবিনা বলেন, বাইরে ঝামেলা হচ্ছে সেব্যাপারে আগেই তিনি তথ্য পেয়েছিলেন। এই ঝামেলার মাঝে যাতে স্কুলফেরত সন্তান না পড়েন সেজন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর পুলিশের সদস্যরা হঠাৎ তাকে বেধড়ক এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে।

পরে উত্তেজিত একদল জনতা পথ আটকে তাকে হুমকি-ধামকি দেন। মারপিট থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ ও দাঙ্গাবাজদের কাছে কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন তিনি। কিন্তু একথা শোনার পর তাকে আরও বেশি করে নিপীড়ন শুরু করেন। অনেকেই তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা স্পর্শ করেন।

হামলাকারীদের চতুর্মুখী ছোবলে বানুর শরীরে অসংখ্য ক্ষত এবং দাগ তৈরি হয়েছে। আর এটা চলেছে কয়েক ঘণ্টা ধরে। পরে এক হামলাকারী যখন দেখতে পান বানুর শরীর থেকে রক্ত ঝড়ছে এবং অবচেতন হয়ে পড়েছেন তিনি। তখনই কেবল ক্ষ্যান্ত দেন তারা। ওই অবস্থায় সেখানে তাকে ফেলে রেখে যায়। পরে অন্য একদল লোক এগিয়ে এসে বানুর পরিবারের কাছে খবর পাঠায়।

বানু অভিযোগ করেছেন, তিনি যখন চেতনা ফিরে পান তখন নিজেকে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর আবিষ্কার করেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা সেই সময় অ্যাম্বুলেন্সেরও পথ আটকে দেয়।

হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিমবিদ্বেষী আগুনে জ্বলতে থাকা দিল্লির সিএসবিসি বোর্ডের পরীক্ষা বাতিলের দাবি উঠে। দাঙ্গাবাজরা এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেন যে, শিশুদের স্কুলগামী বাসও আক্রান্ত হয়। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলগামী শিশুদের নিরাপদে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে মানবঢাল তৈরি করে বাস যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় কিছু মানুষ।

গত রোববার রাতে দিল্লি উত্তরপূর্বাঞ্চলের মৌজপুর, জাফরাবাদ, বাবরপুর, ভজনপুরা, যমুনা বিহার ও চাঁদবাগেই মারা যান ১১ জন। এরমধ্যে দেশটির পুলিশের এক হেড কনস্টেবলও রয়েছেন। গত কয়েকদিনের টানা তাণ্ডবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৫ জনে।

সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.