সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০২-২৮ ০৯:৩৯:৪২
সিলেটভিউ ডেস্ক :: অশান্তি থামছেই না উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে। চার দিন ধরে জ্বলছে রাজধানী শহরের বিভিন্ন এলাকা। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এখনও পর্যন্ত দিল্লি দাঙ্গার শিকার হয়েছেন ৩৮ জন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশকর্মী এবং এক গোয়েন্দা অফিসারও। এর মধ্যেই সামনে এসেছে ঝলসে যাওয়া এক স্কুলের ছবি। ক্লাসরুম, শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ থেকে শুরু করে পরীক্ষার খাতা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লির ব্রিজপুরী এলাকার একটি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে।
বৃহস্পতিবার এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার এই স্কুলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল তাণ্ডবকারীরা। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাই স্কুলেই রাখা ছিল প্রশ্নপত্র ও আরও অনেক সরঞ্জাম।
তবে এখন ছাই ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। কপাল ভালো যে, ঘটনার সময় স্কুলে ছিল না কোনো পড়ুয়া। নইলে বড় বিপদের সম্ভাবনা ছিল। তবে তাণ্ডবকারীরা যখন স্কুলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল সেই সময় ছিল নিরাপত্তাকর্মীরা। কোনোরকমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন তারা।
ওই স্কুলের ক্যাশিয়ার জানিয়েছেন, ঘটনার দিন স্কুলে ছিলেন তিনি। আচমকাই বিকালের দিকে ২৫০-৩০০ জনের একটি দল হাজির হয় স্কুলের সামনে। কী করা উচিত বুঝতে না পেরে পালিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষী। তারপরই স্কুলের গেটে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। দাউ দাউ আগুন ছড়িয়ে পড়ে নিমেষেই।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনা ঘটে বিকাল ৪টার সময়। এদিকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত স্কুল চত্বরে না এসেছে কোনো দমকলের গাড়ি, না এসেছে পুলিশ। এক শিক্ষকের কথায় ‘বারবার আমরা দমকল আর পুলিশে ফোন করছিলাম। কিন্তু কেউই এসে পৌঁছতে পারেনি। চারপাশে যা অবস্থা হয়তো সেসব সামাল দিয়ে স্কুলে আসতেই ওদের ৪ ঘণ্টা লেগে গিয়েছে।’
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, স্কুলগেটে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়ে তাণ্ডবকারীরা। লুটপাট চালায় স্টাফরুমে ঢুকে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লকার হাতড়ে যা পেয়েছে সব নিয়ে গেছে তারা। বইপত্র-খাতা-ফাইল মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছিল সবকিছুই। এক শিক্ষকের কথায়, ‘দেখে মনে হচ্ছিল মুহূর্তের মধ্যে যেন ঝড় বয়ে গিয়েছে।’
সৌজন্যে : যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০/মিআচৌ