Sylhet View 24 PRINT

৩ মাস পর সীমান্ত খুলল ইতালি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-০৪ ১৩:৫৪:২৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ইউরোপের পর্যটনসমৃদ্ধ দেশটি দৃশ্যমান হচ্ছে সেই পুরনো চেহারা। যাত্রী সমাগমে হইচই পড়ে গেছে রোমের লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিমানবন্দরে। খবর এএফপির।


বুধবার থেকে দেশটির আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সীমানা পুরোপুরি খুলে দেয়া হয়। কিন্তু একটিই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে– অন্য দেশগুলো কতটা গ্রহণ করবে ইতালীয়দের।


তবে এটি স্পষ্ট– করোনা সংক্রমণের জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা পরিবারগুলো আবার এক হলেও ইতালির স্বাভাবিক জীবন ফিরতে অনেক দেরি।


ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিই প্রথম, যারা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দিল। পর্যটকদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়মও তুলে দিচ্ছে তারা।


ইতালিতে করোনার ভয়াবহ থাবায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন সাড়ে ৩৩ হাজার মানুষ। ইউরোপের অন্য দেশগুলো লকগাউন তুলে নেয়ার ব্যাপারে ১৫ জুনের পর সিদ্ধান্ত নেবে।

কেউ কেউ তারও অনেক পরে দেশের সীমানা খুলবে। এসব দেশের বক্তব্য– করোনা পরিস্থিতিতে ইতালির পর্যটনশিল্প একেবারে ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বেপরোয়া হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


তবে পর্যটকদের বিষয়ে কয়েকটি জিনিস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেমন– কোন দেশের পাসপোর্ট রয়েছে, তিনি যে অঞ্চলে থাকেন সেখানে সংক্রমণ কেমন হয়েছে ইত্যাদি।


রোমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার দেখা গেছে বহু পুনর্মিলনের দৃশ্য। কয়েক মাস পর প্রেমিকাকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন আন্দ্রে মন্টি।


ক্যাটরিনা শেরফ জার্মানির ডুসেলডর্ফে আটকে পড়েছিলেন। মন্টি বলেন, মহামারীর আগে দেখা হয়েছিল। তার পর আজ। তবে বিমানবন্দরে ভিড় তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। হাজারখানেক লোক যাতায়াত করেছেন। গত বছর এই দিনে সেখানে এক লাখ ১০ হাজারের কাছাকাছি যাত্রী-সমাগম হয়েছিল।


প্রাতবেশী রাষ্ট্র জার্মানি এখনই সীমান্ত খোলা নিয়ে ভাবছে না। তারা জানিয়েছেন, ১৫ জুন থেকে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যাতায়াতে অনুমতি দেয়া হবে।


তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি। দেশবাসীকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে– যতটা সম্ভব কম বিদেশ সফর করতে। ফ্রান্সও সীমান্ত খুলতে চলেছে ১৫ জুন।


অস্ট্রিয়াও তাদের সীমান্ত খুলতে চলেছে। তবে ইতালির জন্য নয়। ইতালির ভয়ানক সংক্রমণ এত তাড়াতাড়ি ভুলে যেতে চান না তারা। ব্রিটেন আগামী সপ্তাহ থেকে দেশে ঢোকার ছাড়পত্র দিতে যাচ্ছে। কিন্তু ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ইউরোপে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর সাক্ষী হয়ে আছে ব্রিটেনই।


ওদিকে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুইডেন। পারস্পরিক দূরত্ববিধি মানলেও লকডাউন তারা করেনি। মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি এ দেশে। এক কোটি মানুষের এই দেশে মারা গেছে সাড়ে চার হাজার লোক।

লকডাউন উঠেছে চীনেও। এই ভাইরাসের উৎস চীন এখন অনেকটাই পুরনো চেহারায়। তাই দূষণের মাত্রাও সেই আগের মতো। তবে লকডাউনপরবর্তী পর্যায়ে মৃতের সংখ্যা চীনের মতো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে কিনা অন্য দেশগুলো, সে প্রশ্ন থাকছে।

বাংলাদেশে গত রোববার থেকে ‘সাধারণ ছুটি’ উঠে যেতেই করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। বাড়ছে মৃতেরে সংখ্যা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৪ জুন ২০২০/ডেস্ক/মিআচৌ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.