Sylhet View 24 PRINT

যেখানে রাজকুমার-রাজকুমারীরাও খেটে খায়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১০-৩১ ১৯:৫২:৫৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: রাজপ্রাসাদ নেই, মসনদও নেই, কিন্তু সিঙ্গাপুরে রাজকুমার, রাজকুমারীরা আছেন। দেখে চেনা যায় না তাদের।

যাদের নামের সঙ্গে ‘টেঙ্কু' আছে, বুঝতে হবে তারাই রাজকুমার বা রাজকুমারী। কোন বংশের রাকজুমার বা রাজকুমারী? কেনো সুলতান হুসেইন শাহর কথা মনে নেই? তার সঙ্গে চুক্তি করেই তো সিঙ্গাপুরে উপনিবেশিক শাসন শুরু করেছিল ব্রিটেন।

গত শতকের শেষ দিকেও জরাজীর্ন এক রাজপ্রাসাদে গাদাগাদি করে থাকতেন তারা। তখন রাজপ্রাসাদে অবশ্য সুলতানের ৭৯জন বংশধরের মধ্যে মাত্র ১৪জন ছিলেন। মাসোহারার আশ্বাস দিয়ে তাদের রাজপ্রাসাদ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সরকার।

সেই রাজপ্রাসাদ এখন জাদুঘর। রাজবংশের হয়েও টেংকু শওল, টেংকু আজান, টেংকু ইন্দ্র, টেংকু ফজল বা প্রিন্সেস পুতেরিকে এখন সেখানে যেতে হয় বেড়াতে।তারা যে এখন সাধারণ মানুষ!

টেংকু ইন্দ্র কনসালট্যান্ট, তার ছেলে টেংকু আজান ব্যবসায়ী, প্রাসাদচ্যুত হওয়ার পর কিছুদিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করা টেংকু ফয়জল ট্যাক্সিচালক আর টেংকু পুতেরি এখন বায়োটেক ফার্মের কর্মী।

টেংকু ইন্দ্র বলছিলেন, “আপনি রাজপরিবারের কিনা তা আর এখন গুরুত্বপূর্ণ নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পারিবারিক সূত্রে পাওয়া কোনো পরিচয় দিয়ে নয়, এখন জীবিকা নির্বাহ করতে হয় মেধা দিয়ে।''



সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩১ অক্টোবর ২০২০/পূর্বপশ্চিমবিডি /জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.