Sylhet View 24 PRINT

তিন তালাকের প্রতিবাদ করায় ভাইয়ের বউকে গণধর্ষণ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৮-২৪ ০০:২৮:৪০

মঙ্গলবার ভারতে তিন তালাকের বিপক্ষে চূড়ান্ত রায় দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট৷ রায় দেয়ার পাশাপাশি তিন তালাককে অসাংবিধাক আখ্যা দেয়া হয়েছে।

ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধসহ মোট পাঁচ ধর্মের পাঁচজন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেন।

রায়টি ৩-২ ব্যবধানে পাশ হয়। বিচারকরা বলেন, তিন তালাকের এ বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ ও ২১ নং অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ দুইটি অনুচ্ছেদে সমতা, জীবনের নিরাপত্তা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে।

তালাকপ্রাপ্তা পাঁচ মুসলিম নারী ও দুইটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে এ রায় দেয়া হয়েছে। এখন থেকে ভারতে তিন বার 'তালাক' শব্দ বলে তালাক দেয়া আইনত নিষিদ্ধ বলে পরিগণিত হবে। 

এদিকে এই তিন তালাকের শিকার কয়েকজন নারীর পরিণতি সামনে নিয়ে এসেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম কলকাতা টোয়েন্টিফোর সেভেন।

১) উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের বাসিন্দা এক মহিলার ৬ বছর আগে বিয়ে হয়৷ যৌতুকের জন্য বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে তার ওপর নির্যাতন চলতে থাকে৷ একটি গাড়ি এবং ২ লাখ টাকা দাবি করা হয় তার কাছ থেকে৷ দাবি অনুযায়ী সবকিছু না পাওয়ায় তার উপর অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে যেতে থাকে৷ এরইমাঝে ওই নির্যাতিতার স্বামী তাকে তিন তালাক দেয়৷ ঘর থেকে বের করে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়৷ মহিলা ঘর থেকে বেরোতে না চাইলে, তার ভাসুর এবং দেওর তাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে৷ এখানেই শেষ নয়৷ ওই মহিলাকে আগুনে ঠেলে দেওয়া হয়৷ ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেই পুলিশ উপস্থিত হয়, প্রাণে বেঁচে যায় নির্যাতিতা৷

২) হায়দরাবাদে এক স্ত্রীকে তাঁর স্বামী পোস্টকার্ড মারফত তিন তালাক লিখে পাঠায়৷ যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ পোস্ট কার্ডে তিন বার তালাক লেখা দেখে হতভম্ব হয়ে যান মহিলা৷ এই ঘটনার বিচার চেয়ে মহিলা পুলিশের কাছে গিয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে৷

৩) বিহারে বেগুসরায়ের বীরপুর থানা এলাকায় এক মহিলাকে তাঁর স্বামী তিন তালাক দিয়ে ছেড়ে দেয়৷ ২২ বছর আগে মহম্মদ শাকিলের সঙ্গে রুবেদা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল৷ এরমাঝে মদের নেশায় আক্রান্ত হয় শাকিল৷ রুবেদা এদিক সেদিক কাজ করে তার ছয় সন্তান-পরিবারের অন্নের সংস্থান করে নিত৷ কিন্তু এত কিছুর পরেও শাকিল নেশা করার জন্য রুবেদার থেকে টাকা দাবি করত৷ এমনকি শারীরিক নির্যাতনও করত৷ এই অত্যাচার এমনই পর্যায়ে চলে যায় যে একদিন রুবেদা পুলিশের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়৷

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.