আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

ট্রানজিট ভিসা সুবিধা: ঘুরে আসুন দুবাইয়ের ৮টি অসাধারণ স্থানে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২০ ০১:৪১:১৫

পর্যটকবান্ধব হতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ সপ্তাহেই তার নমুনা দেখা গেছে। দেশটির মন্ত্রীপরিষদ পর্যটকদের ভিসা প্রদানে এক সাধারণ নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করছেন। এ নীতিমালার বদৌলতে যেসব  যাত্রী দেশটির দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় স্থানে ঘুরতে চান তাদের ট্রানজিট ভিসা দেওয়া হবে। কেউ যদি সামান্য সময়ের জন্যেও দুবাই যেতে চান, তাদের ঘোরাঘুরির জন্যে সেখানে রয়েছে দারুণ কিছু স্থান। এগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিন।

দুবাই মল
আপনাকে যে কেনাকাটা করতেই হবে তেমন কোনো কথা নেই। তবে দুবাই মল দেখার অভিজ্ঞতা না থাকলেই নয়। এই স্থান হাজারো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের স্বর্গ। তা ছাড়া সেখানে আইস স্কেটিং করতে পারবেন। পেঙ্গুইনদের দেখা মিলবে। আইকনিক বুর্জ খলিফার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারবেন। ভবনের নিচে মাত্র ৪০ দিরহাম খরচে এক ঘণ্টার ঘুমও দিতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১৪ মিনিট।

প্রাচীন দুনিয়ায় ডুব দিন
যুগ যুগ আগে দুবাই দেখতে কেমন ছিল? এটা দেখার আগ্রহ সবারই থাকবে। এর জন্যে চলে যেতে পারেন দুবাই ক্রিক এবং দ্য আল ফাহিদি হিস্টরিক ডিস্ট্রক্টে। সেখানে আছে জাদুঘর আর গ্যালারি। সেখানে ঐতিহ্যবাহী আবরাসে (নৌকা) করেও ভ্রমণ করতে পারেন। বিমানবন্দর থেকে এই স্থানের দূরত্ব ১৯ মিনিট।

ভবিষ্যত দর্শন
আগামীর কিছু যদি দেখতে চান আর সেই সঙ্গে গরমে জিরিয়ে নিতে চান তারা ঢুঁ মারতে পারেন জাবেল পার্কের দুবাই ফ্রেমে। সেখানে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন ইতিহাসের মধ্য দিয়ে। দুবাইয়ের পুরনো থেকে শুরু করে আধুনিক কালের চেহারার অবকাঠামোগত চিত্রটা এখানেই দেখতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব ২১ মিনিট।

সমুদ্র সৈকত
যদি সৈকতের পাগল হয়ে থাকেন তবে চলে যান তরঙ্গের আওয়াজ শুনতে। দুবাইয়ে অনেক সৈকত আছে। প্রতিটি সৈকতই পর্যটকবান্ধব। জেবিআর, বুর্জ বিচ, কাইট বিচ, মামজর বিচ পার্ক, ঘান্টোট বিচ আর জাবেল আলী বিচ ইত্যাদিতে। এসব জায়গায় যেতে বিমানবন্দর থেকে খুব বেশি ২০-৩০ মিনিট সময় লাগবে।

প্রকৃতি দর্শন
কেবল প্রকৃতি দেখে চোখ জুড়াতে চাইলে তার ব্যবস্থাও আছে। দুবাই সাফারি পার্কে চলে যান। সেখানে আছে দেশের ২৫০০ প্রজাতির প্রাণী। এদের দেখাটাও অনেক আনন্দের বিষয়। বিমানবন্দর থেকে এর দূরত্ব ২২ মিনিট।

মেরিনা
আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে দুবাই মেরিনাতে যেতে পারেন। বিশাল বিশাল আকাশছোঁয়া সব ভবন দেখে হতবাক হয়ে যেতে হয়। সেখানে আছে প্যাঁচানো 'ক্যানন টাওয়ার'। দুবাই মেরিনা বোর্ড বরাবর হেঁটে যান। সেখানেই পাবেন সবচেয়ে বড় ফেরিস হুইল।

কেনাকাটা
যারা এ কাজে আগ্রহী তাদের স্বর্গ দুবাই। সময় বের করে চলে যেতে পারেন দুবাই মল, মল অব এমিরেটস, ইবনে বতুতা মল, মেরিনা মল, মিরডিফ সিটি সেন্টার, মের্কাতো মল ইত্যাদি স্থান রয়েছে।

মরুর তারকাপুঞ্জ
দুবাইয়ের আকাশ আপনাকে অবাক করে দেব। দুবাইয়ের ডেজার্ট সাফারি সৌন্দর্যপিয়াসীদের তৃষ্ণা মেটাতে পারে। সন্ধ্যায় চলে যান কোনো মরুতে। সেখানে ঘুরে বেড়ানোর মতো গাড়ি রয়েছে।  
সূত্র : খালিজ টাইমস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন