আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

শ্বাসকষ্টের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১২-২৬ ০১:১২:৪২

অ্যাজমার প্রধান উপসর্গ হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। এ জাতীয় রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বেশির ভাগ সময় তারা মধ্যরাতে বা ভোরের দিকে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে থাকে। কারণ সে সময় তাদের শ্বাস টানতে এবং ছাড়তে ভীষণ কষ্ট হয়। বুকের মধ্যে আঁটসাঁটভাবে এবং বাঁশির মতো সাঁই সাঁই আওয়াজ হয়। যারা রোগীর পাশে এ সময় থাকেন তাদের কানেও আওয়াজ যায়। রোগীর সারা শরীর ঘামে ভিজে যায়।

ছোট শিশুদের জন্য এটি অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক ব্যাধি। বাচ্চাদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাবা, মা এবং পুরো পরিবারই সারা রাত জেগে থাকে। সাধারণত ভোরের দিকে এ রোগের আক্রমণ শুরু হলেও যারা এ রোগে নতুন আক্রান্ত হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দিনের যে কোনো সময় হাঁপানি হতে পারে। হাঁপানি বা অ্যাজমা শুরুতে অল্প পরিমাণের শ্বাসকষ্ট হয়, যা পরক্ষণে দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়। যে সব রোগী অনেক দিন ধরে হাঁপানি রোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যবস্থা এক ধরনের।

যারা হঠাৎ বা নতুন করে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা, তবে নতুন এবং পুরানো রোগীদের ক্ষেত্রে ইনহেলারের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইনহেলার অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদের জন্য একটি কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা। এ যন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজেই শ্বাসের সঙ্গে ওষুধ টেনে নেওয়া যায়। ইনহেলার ছাড়া এসব রোগীর মুখে সেবনের যে ধরনের ওষুধ রয়েছে সেগুলো সেবন করলে রোগীদের ঘুমের পরিমাণ কমে যায়।

কোনো শ্বাসকষ্টের রোগীর যদি ইনহেলার ব্যবহার করেও শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বেড়ে যায়, তবে তাকে মুখে সেবনের ট্যাবলেট বা ক্ষেত্র বিশেষে ইনজেকশন দেওয়া হয়। মনে রাখতে হবে এসব ক্ষেত্রে প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম। তাই এ বিষয়ে অবহেলা না করে আমাদের সচেতন হতে হবে।
লেখক: অধ্যাপক ডা. একেএম মোস্তফা হোসেন, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, মেডিনোভা, মালিবাগ, ঢাকা।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন