Sylhet View 24 PRINT

শীতকালীন সবজি সংগ্রহের পদ্ধতি জেনে নিন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-২২ ১৯:৫৬:৫১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: শীতের সবজির উৎপাদন বাড়ানোর সাথে সাথে সঠিক নিয়মে সবজি সংগ্রহ এবং বাজারজাতকরণের বিষয়টি জড়িত। এর ব্যতিক্রম হলে গুণগত মানের সবজি ও সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়। এর জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রেখে সঠিক নিয়মে সঠিকভাবে সবজি সংগ্রহ করে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল

১. টমেটো, বেগুন, শসা, কুমড়া-এসব সবজিকে বোঁটা থেকে ধারালো ছুরি দিয়ে গাছ থেকে আলাদা করতে হবে।
২. চারাগাছ পাতলা করার সময় ছোট গাছ হিসেবে লালশাক, পালংশাক-এসবের শাক সংগ্রহ করতে হবে।
৩. পালংশাক, লালশাক, মুলাশাক সংগ্রহের সময় সম্পূর্ণ গাছটি শিকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে।
৪. শাক হিসেবে ব্যবহারের জন্য পুঁইশাক ও লাউয়ের ডগা ছাঁটার সময় গাছের অংশ কেটে সংগ্রহ করতে হবে।
৫. বিভিন্ন সবজি সংগ্রহের উপযোগী সময় ও উপযুক্ত অবস্থাভেদে সংগ্রহ করতে হবে।
৬. সবজির ফল যথেষ্ট কচি অবস্থায় পরিপূর্ণ আকার এবং রং প্রাপ্তির পর সংগ্রহের ব্যবস্থা নিতে হবে।

ফল সংগ্রহের নিয়ম

ঢেঁড়স: কোমল ও কচি অবস্থায় ঢেঁড়সের ফল তুলতে হবে। তা না হলে ফল শক্ত ও খাওয়ার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। ফল বের হওয়ার ৩-৫ দিন পর ঢেঁড়স খাওয়ার উপযোগী হয়। ফল তোলা না হলে কাণ্ড বাড়ে না এবং ফলন কম হয়।

ধুন্দল: বীজ বোনার দেড় থেকে দুই মাস পর ধুন্দল ফল ধরা শুরু হয়। এটি দুই-তিন মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। গাছে ফল ধরার ৮-১০ দিন পরেই সংগ্রহ উপযোগী হয়। ফল কচি অবস্থায় সংগ্রহ করা উচিত। এতে পুষ্টিমান বজায় থাকে। বেশি পরিপক্ব ফলের স্বাদ ও পুষ্টিমান দু’টিই কমে যায়।

বরবটি:
শুটি পরিপূর্ণ লম্বা ও মোটা হলে, বীজের অংশ সামান্য স্ফীত হতে শুরু করলে বরবটি তোলা যাবে।

লাউ:
ফলের ত্বকের লোমশ ভাগ পরিপক্বতার সাথে সাথে কমতে থাকে। ফলের লোমশ ঘনত্ব দেখেও এর সংগ্রহ উপযোগিতা নির্ণয় করা যায়।

মূলা:
বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর থেকে সংগ্রহ করা যায়। শাকের জন্য ঘন করে লাগালে ফসল ২০ দিন পর এবং মূলার জন্য ৪০ দিন পর থেকে ফুল ফোটা পর্যন্ত সংগ্রহ করা যাবে।

শিম: ফুল ফোঁটার ২০-২৫ দিন পর সংগ্রহ করা যায়। শুটি পরিপূর্ণ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হলে এর বীজের অংশ কিছুটা স্ফীত হওয়ার পর পরই সংগ্রহ করতে হবে। তবে অতিরিক্ত পরিপক্ব শুটিতে আঁশ জন্মালে কোমলতা ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।

সতর্কতা অবলম্বন:

১. হাত দিয়ে মুচড়ে সবজি সংগ্রহ করা যাবে না। এতে গাছের ক্ষতি হয়। তাই ধারালো ছুরি বা ক্লিপার দিয়ে সংগ্রহ করা উচিত। সংগ্রহ করে ফসল তোলার পাত্রে রাখতে হবে। পরে বাজারজাতকরণ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদন করতে হবে।

২. মাঠে থাকা অবস্থায় সংগ্রহের সময় সবজির গায়ে ধুলাবালি লাগতে পারে। এর জন্য সংগ্রহের পরপরই পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিলে নেতিয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমে। তবে অপরিষ্কার পানিতে ধোয়া উচিত নয়। কেননা রোগ-জীবাণুর আক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

৩. কাছে বা দূরের বাজারে পাঠানোর আগে খুব ধারালো ছুরি দিয়ে ছাঁটাই করতে হবে। আকর্ষণ ও মূল্য বাড়ানোর জন্য সটিং এবং গ্রেডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবজিভেদে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করে গ্রেড করার ব্যবস্থা নিতে হবে। রসালো সবজি সংগ্রহের পরও শ্বসন প্রক্রিয়া চলে। তাই ঠান্ডা ঘরে বায়ুশূন্য করে অল্প সময়ের জন্য হলেও তাপ সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. দূরের পথে সবজি টাটকা রাখার জন্য মোড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সবজি খুব পাতলা ও স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে রাখলে নেতিয়ে পড়া কমে যায়। খুবই পাতলা পলিথিনের ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে। তাই শাক, ব্রোকলি, শিম, লেটুস, ধনিয়াপাতাকে মোড়কায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. মোড়কায়নের পর পরিবহনের সময় সবজিতে যেন আঘাত না লাগে; সেজন্য বাক্সে করে চালান দেয়া উচিত। পরিবহনের সময় ট্রাকের ও ট্রেনের বগিতে পরিচ্ছন্নতা ও বাতাস চলাচলের বিশেষ ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।

সৌজন্যে :: জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ ডিসেম্বর ২০১৯/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.