Sylhet View 24 PRINT

হাতের কব্জিতে হঠাৎ তীব্র ব্যথা, কী করবেন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০১-২০ ১১:১১:০৩

সিলেটভিউ ডেস্ক :: হঠাৎ হাতে বা হাতের কব্জিতে তীব্র ব্যথা হচ্ছে। এ ব্যথা খুব সাধারণ ব্যথা হলেও কোনো কারণ ছাড়াই হয় এমন নয়। এ ধরনের ব্যথায় আমরা সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খেয়ে থাকি। যেটি মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।

হঠাৎ ইনজুরির কারণে কব্জিতে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা হয়ে থাকে। মচকে গেলে কিংবা হাড় ভেঙে কব্জিতে ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া বারবার কব্জিতে চাপ, বাত ও কারপাল টানেল সিনড্রোমের কারণে ব্যথা হয়ে থাকে।

কব্জির ব্যথার কারণ

কব্জি বা রিস্টজয়েন্ট হলো একটি জটিল সন্ধি, যা তৈরি হয়েছে কয়েকটি হাড়ের সমন্বয়ে যেমন রেডিয়াস ও আলনা হাড়ের নিম্নাংশ এবং আটটি ছোট ছোট কারপাল হাড়। এই কারপাল হাড়গুলো দুই সারিতে সাজানো।

লিগামেন্টের শক্ত ব্যান্ড কব্জির হাড়গুলোকে একে অন্যের সঙ্গে, রেডিয়াস ও আলনা হাড়ের নিম্নাংশ এবং হাতের হাড়গুলোকে সংযুক্ত করে। টেনডনগুলো হাড়ের সঙ্গে মাংসপেশিকে সংযুক্ত করে।

কব্জির  যে কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া হাত ও কব্জির ব্যবহারের সক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

কব্জি ব্যথার সাধারণ কারণগুলো হচ্ছে- ইনজুরি হলে আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা।

হাতের ওপর ভর দিয়ে সামনের দিকে পড়ে গেলে কব্জিতে খুব বেশি ইনজুরি হতে পারে। ফলে কব্জি মচকে যায়, কব্জিতে টান পড়ে এবং কব্জির হাড় ভেঙেও যায়। ফলে ব্যথা হতে পারে। এ সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যার কারণেও কব্জি ব্যথা হতে পারে। সাধারণত কব্জিতে অস্টিও আর্থ্রাইটিস খুব কম হয়। কোনো লোকের কব্জিতে আগে ইনজুরি হয়ে থাকলে পরে অস্টিও আর্থ্রাইটিস হয়। এ ক্ষেত্রে কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি ছিঁড়ে যায় বা ক্ষয় হয়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাত ও কব্জির যে কোনো কাজ বারবার করলে কব্জির ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। আর বোলিং, গলফ, জিমন্যাস্টিক, টেনিস প্রভৃতি খেলার ফলেও ব্যথা হতে পারে।

চিকিৎসা

হাতের কব্জির ব্যথার চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে ইনজুরির গ্রণ, স্থান ও তীব্রতা– সর্বোপরি বয়স ও সার্বিক স্বাস্থ্যের ওপর।

তবে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হলো– কব্জিকে বিশ্রামে রাখতে হবে। যে হাতে ব্যথা ওই হাত দিয়ে কোনো কাজ করবেন না। আক্রান্ত হাতের কব্জিকে নড়াচড়া থেকে রক্ষা করার জন্য রিস্টব্যান্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।

আর কোনো নির্দিষ্ট রোগের কারণে কব্জিতে ব্যথা হয়ে থাকে, তা হলে তার চিকিৎসা দিতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে পারেন। এ ধরনের ব্যথায় আইবুপ্রফেন ও অ্যাসিটামিনোফেন ওষুধ খুব ভালো কাজ করে।

কখন অপারেশনের প্রয়োজন

মারাত্মকভাবে হাড় ভাঙলে, কারপাল টানেল সিনড্রোমের উপসর্গ তীব্র হলে এবং টেনডন বা লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলে অপারেশনের প্রয়োজন হয়।

লেখক:  ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম।
মেডিসিন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ এবং কনসালট্যান্ট (সিটিস্কিন সেন্টার, শান্তিনগর, ঢাকা)।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ জানুয়ারি ২০২১/যুগান্তর/মিআচৌ-৯

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.