আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

'ভালবাসার সিলেট জেলা ছাত্রলীগ'

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২৯ ১৭:৩১:৪৮

লেখক

(সামাদ-রায়হান) কমিটির উপ- দপ্তর সম্পাদক আমার জীবনে সেরা অর্জন। অত্যন্ত ক্ষুদ্র পদের অধিকারী হলেও নিজের পরিশ্রম দিয়ে প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধু আদর্শের রাজনৈতিক চর্চা করার সুযোগ পেয়েছিলাম ।
আমি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের এই পদে দায়িত্ব পাওয়ার পর স্বপ্ন সাধনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ছাত্রলীগের সুনাম বৃদ্ধি করার। এই সময়টায় আমি আমার ছিলাম না, প্রতিনিয়ত ভাবতাম আমার ভাল কাজে সংঘটনের সুনাম না হলেও খারাপ কিছু করলে অবশ্যই ছাত্রলীগের বদনাম হবে।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের ১৩ টি উপজেলার ছাত্রলীগকে সুসংঘটিত করতে কাজ করেছি এবং এই সময়টায় নিজের ব্যক্তিগত সময় বলতে আমার কিছু ছিল না।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে  প্রায় প্রতিটি প্রোগ্রাম সফল করার জন্য ব্যানার, ফেস্টুন, মাইক সংগ্রহ করা এবং ফোন করে অনেককে জানিয়ে দেওয়া ছিল আমার কাজ।
প্রতিনিয়ত রায়হান ভাইয়ের নির্দেশের অপেক্ষা করতাম । সিলেট  জেলা ছাত্রলীগের মান উন্নয়নে আমার উপর অর্পিত প্রতিটি কাজকেই আইন মনে করেছি।
কাজ করার প্রবল আগ্রহের কারণে নেতাদের কাছে প্রিয় ছিলাম কিংবা বলা যায় ক্ষমতার খুব কাছাকাছি ছিলাম কিন্তু ছাত্রলীগের নাম করে বা ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কারো কাছ থেকে একটা টাকা নিয়েছি সে কথা কেউ বলতে পারবে না, যদি কেউ বলে ছাত্রলীগের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে আমি একটা টাকাও কারো কাছ থেকে নিয়েছি তাহলে এই মুখে রাজনীতির কথা আর বলবো না। টাকা কামাই করতে যে পারতাম না সেটা নয়, চোখের সামনেই তো অনেকে অনেক টাকা ইনকাম করেছে ।
ইনকাম বলতে আমার ৪ টা টিউশনি ছিল । এই টিউশনের টাকা ব্যয় করতাম ।
আমার কাছে আদর্শিক লড়াইটাই বড় ছিল, মানুষের বিপদেআপদে পাশে দাঁড়ানো এবং মানুষকে সহযোগিতা করা,  সত্যকে সত্য বলাই ছিল সহজাত প্রবৃত্তি ।
যিনি আমাকে চরম হিংসা করতেন তাকেও ভালবেসে কাছে আনার চেষ্টা করতাম। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের একজন কি বলতে পারবেন আমার সাথে আপনার ব্যক্তিগত বিরোধ আছে এবং সেটা কি ?
আপনি যদি সত্যবাদী হন তাহলে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন আপনার সাথে আমার কি বিরোধ ।
একটা অভ্যাস অবশ্য আমার ছিল সেটা মানুষের কাছে যেতে ব্যক্তিগত ভাবে সম্পর্ক উন্নত করা না কিন্তু কেউ আসলে নিজেকে উজাড় করে দিতে চেষ্টা করতাম ।
যেমন এম সি কলেজ ছাত্রাবাস ছিল শিবিরের আবাসস্থল, সেখানে ২০১১ সালে সংঘবদ্ধ ভাবে ছাত্রলীগের ব্যানার আমরা ৩০/৩৫ জন বন্ধু উঠে ছিলাম।


লেখক: রাফিউল করিম মাসুম, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন