Sylhet View 24 PRINT

ভেলায় ভেলায় শুধুই রোহিঙ্গা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১১-১১ ০১:০৮:০৪

টেকনাফের নাফ নদ দিয়ে ৮টি ভেলায় করে ভেসে এসেছে আরও ৫৫০ রোহিঙ্গা। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্যে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।

জানা গেছে, নাফ নদ হয়ে প্রথমে সাবরাং নয়াপাড়া সীমান্তে ভেলায় করে ভেসে আসে ২৬ জন রোহিঙ্গার একটি দল। এরপর একই এলাকা দিয়ে দুটি ভেলায় আসে ৭০ জন ও ৬২ জন রোহিঙ্গা। আধা ঘণ্টা পর সাবরাং ৩ নম্বর স্লুইস গেট এলাকা দিয়ে তিনটি ভেলায় করে আসে ৫৬ জন, ৪৮ জন ও ১২৩ জন রোহিঙ্গা। সাবরাং কবির মেম্বারের প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে দুটি ভেলায় করে আসে ১২২ জন ও ৪২ জন রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে ৫৪৯ রোহিঙ্গা নারী শিশু ও পুরুষ ঢুকেছে। এসব রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি।

আরও জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে ভিন্ন কৌশলে প্লাস্টিক জারিকেনের ওপর বাঁশ ও কাঠ বসিয়ে ভেলা  তৈরি করে রোহিঙ্গারা একের পর এক নাফ নদ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। আগত রোহিঙ্গাদের ভাষ্য থেকে জানা গেছে, গতকাল সকালের দিকে রাখাইনের ঢংখালী চর থেকে ভেলায় ভেসে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা নাফ নদে জোয়ারে ভেসে দুপুরের দিকে সাবরাং নয়াপাড়া ঘাটে তিনটি ভেলায় ১৫৮ জন রোহিঙ্গা পৌঁছেন।

এর আধা ঘণ্টার ব্যবধানে অপর তিন ভেলায় ২২৭ জন রোহিঙ্গা সাবরাং ৩ নম্বর স্লুইস গেটে পৌঁছেন। পরে দুই ভেলায় ১৬৪ জন রোহিঙ্গা সাবরাং কবির মেম্বারের প্রজেক্ট এলাকায় পৌঁছেন। ভেলায় চড়ে আসা বুচিডং হারাংখালী এলাকার রোহিঙ্গা আবদুশ শুক্কুর জানান, রাখাইনের মংডু ঢংখালী চর থেকে ১০টি ভেলায় করে এপারের উদ্দেশে তারা রওনা দেন। এসব ভেলা জোয়ারের মধ্যে কিছু এপারে আসে, কিছু ওপারে থেকে যায়। সবার বসতবাড়ি বুসিডং এলাকায়। রাখাইনে সেনাবাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের অনেকেই এক থেকে দেড় মাস আগেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে মংডু ধাওনখালী চরে এসে অবস্থান নেন। এপারে আসতে নৌকা বা কোনো বাহন না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে অপেক্ষায় থাকেন। তিনি জানান, খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের। জীবন বাঁচাতে এপারে পৌঁছাতে প্লাস্টিক জারিকেনে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ভেলা তৈরি করে নাফ নদ পাড়ি দিয়ে এপারে চলে আসেন। এর আগে কোনো উপায় না পেয়ে ৬১ রোহিঙ্গা যুবক জারিকেন বুকে নাফ নদ সাঁতরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।

 বুচিদং কোয়াইনচং এলাকার রোহিঙ্গা মো. ইলিয়াছ জানান, সে দেশে বাস করলে এনভিসি কার্ড নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এই এনভিসি কার্ডে বাঙালি হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.