Sylhet View 24 PRINT

নোয়াখালীতে ৩ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যদণ্ড

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৩-১৩ ১২:২৯:৫১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: একাত্তরে নোয়াখালীর সুধারামে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

এদের মধ্যে আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন, ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরের ফাঁসির রায় হয়েছে। আর মো. আব্দুল কুদ্দুসের হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড।এই চার আসামির মধ্যে মনসুর পলাতক। বকি তিনজন রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে।

রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশনের আনা তিন অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের তিন আসামির সাজা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করতে হবে। সেই সঙ্গে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে সাজা কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে।

নিয়ম অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের মামলায় রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা যায়। তবে পলাতক আসামিকে সে সুযোগ নিতে হলে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এ মামলায় প্রাথমিকভাবে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলও মামলার অভিযোগ গঠনের আগে মো. ইউসুফ আলী নামে এক আসামি গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালের ২০ জুন এ মামলার বিচার শুরু করে আদালত। ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ৩১টি মামলার ৭১ আসামির মধ্যে তিনজন বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মোট ৬৮ জনের সাজা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪১ যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে।   

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার আদালত বসার পর নোয়াখালীল চার আসামির রায়ের কার্যক্রম শুরু হয়। গ্রেপ্তার তিন আসামিকে তার আগেই কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। শুরুতেই নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে আদালত।

তিন সদস্যের এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম প্রারম্ভিক বক্তব্যে জানান, এ মামলায় তারা যে রায় দিচ্ছেন, তা ১৫০ পৃষ্ঠার।

পরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার রায়ের সার সংক্ষেপের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন। বিচারপতি আমির হোসেন পড়েন রায়ের দ্বিতীয় অংশ। সবশেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান সাজা ঘোষণা করেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন জাহিদ ইমাম। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, গাজী এমএইচ তামিম ও মাসুদ রানা।

মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন। তিনিসহ মোট ১৫ জন প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।

প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল গত ৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিল।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩মার্চ২০১৮/ডেস্ক/আআ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.