আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে প্রেমিক জুটি, আপত্তিকর অবস্থায় আটক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২১ ০০:৩৬:৩৯

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে – ভোলা সদর উপজেলার ২ নং ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সেলিম পন্ডিতের ছেলে ও একই এলাকার শহীদ জমাদারের মেয়ের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রেম চলে আসছে বলে জানা যায়। এর সুবাদে গত বুধবার(১৮ এপ্রিল) সকালে সেলিম পন্ডিতের ছেলে বশির আহম্মেদ (২৫) তার প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে আসে ইলিশা ৯ নং ওয়ার্ডের বশিরের এক পরিচিত বাড়ীতে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে।

সেখানে এসে স্বামী-স্ত্রী মতো মেলামেশা করার সময় স্থানীয়রা আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা প্রেমিক-প্রেমিকা। পরে দুইজনের সম্মতিক্রমে কাজী এনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়। এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য বারেক পাটোয়ারীর সহযোগীতায় ছেলের পক্ষ মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি বিয়ের পরেই ছেলে পক্ষ তালবাহান শুরু করেছে বলে অভিযোগ মেয়ের পরিবারের।

পরে ইলিশা পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মোক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার(১৯ এপ্রিলল) সকালে দম্পতিকে ফাঁড়িতে হাজির করে দুই জনের বক্তব্য শুনেন। পরে আগামী বৃহস্পতিবার বিকালে ইলিশা পরিষদে মিমাংসার তারিখ নির্ধারণ করেন।

বশির আহম্মেদ জানান, আমি নিজ ইচ্ছায় ফাতেমাকে বিয়ে করেছি, এখানে কারো বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই। এই মেয়েটির ইজ্জত যেহেতু আমি নষ্ট করেছি স্ত্রী হিসেবেও আমি মেনে নিয়েছি।

মেয়ের বড় বোন জানান, বারেক মেম্বার প্রথমে আমাদের পক্ষে ছিলো কিন্তু আমরা গরীব বলে এখন ছেলের পক্ষে।এই বিষয়ে বারেক মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন বক্তব্য নেই। ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোক্তার হোসেন জানান, আপত্তিকর অবস্থার ছবি আমিও দেখেছি। তবে দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে আগামী (২৬ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিকালে পরিষদে মিমাংসার তারিখ দিয়েছি।

ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাছনাঈন আহমেদ হাছান মিয়া ফোনে আলাপকালে জানান, আমি অসুস্থ ঢাকায় আছি। তবে আমি ঘটনাটি শুনেছি বিয়ে হয়েছে। তার পরেও বৃহস্পতিবারে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত নিব।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন