আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

নির্জনে ঝাড়ফুঁকের অজুহাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২৫ ০১:০৮:১৮

নির্জনে ঝাড়ফুঁকের অজুহাতে এক গৃহবধূকে (২৭) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে আইজুল হক মুফতি (৫০) নামের এক কবিরাজের বিরুদ্ধে।

গত সোমবার বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের লিচু বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর ধরেই আইজুল হক মুফতি নিজেকে কবিরাজ হিসেবে প্রচার করে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের লিচু বাগান এলাকার একটি বাড়িতে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। মূলত জিন-ভূত তাড়ানোর কথা বলে লোকজনকে ঝাড়ফুঁক দিতেন এই কবিরাজ।

গত সোমবার বিকেলে পত্নীতলা উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের ওই গৃহবধূ ওই কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। জিন তাড়ানোর নামে গোপনে ঝাঁড়ফুক দেওয়ার কথা বলে ওই নারীকে বাড়ির ভেতরে  নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ওই নারী তাঁর স্বামীকে ঘটনাটি জানান।

ওই গৃহবধূর স্বামী জানান, তাঁর  স্ত্রী বেশ কিছু দিন ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। বিভিন্ন চিকিৎসা করেও সুস্থ না হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে কবিরাজ আইজুল মুফতির বাড়িতে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যান। কবিরাজকে সমস্যার কথা বললে তাঁকে জিনে ধরেছে বলে জানান কবিরাজ। জিন তাড়াতে নির্জনে ঝাড়ফুঁক দিতে হবে বলে কবিরাজ তাঁকে বাড়ির বাইরে বসতে বলে তাঁর স্ত্রীকে বাড়ির ভেতরে ডেকে নিয়ে যান। কিন্তু কবিরাজের বাড়ি থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে আরো অস্বাভাবিক ও অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান তিনি। এরপর স্ত্রীর কাছ থেকে তিনি আসল ঘটনা জানতে পারেন।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ওই কবিরাজের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। কিন্তু কবিরাজ কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। গতকাল সকালে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ঘটনার শিকার গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পলাতক কবিরাজকে ধরার চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন