আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

দেশের ৮ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নিহত ১১

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-২৮ ১১:২৭:০৫

সিলেটভিউ ডেস্ক :: দেশের আট জেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে তাদের সঙ্গে এবং মাদক বিক্রেতাদের নিজেদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ও ‘দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষে’ ১১ জন নিহত হয়েছেন। এদের সবাই চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা বলে দাবি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের।

রোববার (২৭ মে) দিনগত রাত থেকে সোমবার (২৮ মে) ভোর পর্যন্ত এসব ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও ‘সংঘর্ষ’ হয়। আট জেলার মধ্যে কুমিল্লা, পিরোজপুর ও সাতক্ষীরায় দু’জন করে এবং ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর, নাটোর ও ঝিনাইদহে একজনের করে মৃত্যু হয়েছে।

কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলায় রোববার দিনগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এনামুল হক দোলন (৪০) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ১০ কেজি গাঁজা, ১০০ পিস ইয়াবা, একটি পাইপগান, একটি কার্তুজ ও কার্তুজের খোসা জব্দ করা হয়। এসময় এসআই যুবরাজ বিশ্বাস ও দুই কন্সটেবল আহত হন।

এরপর রাত ১টা ৫০ মিনিটে সদর দক্ষিণ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নুরু (৫৫) নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। তার বিরুদ্ধে  ১১টি মামলা রয়েছে, যারমধ্যে একটি অস্ত্র ও ১০টি মাদক মামলা। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ কেজি গাঁজা, একটি রিভলভার ও দুই রাউন্ড গুলি জব্দ করা করা হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ জেলার মিরকাদিম পৌরসভায় রোববার দিনগত রাত ১টার দিকে মাদক বিক্রেতাদের দু’টি গ্রুপের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুমন বিশ্বাস ওরফে কানা সুমন (৩২) নামে একজন নিহত হন। তার বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় ২৫টি মাদক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল ইয়াবা ও দু’টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার জাড়গ্রামে রাত দেড়টার দিকে মাদক বিক্রেতাদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ফরিদ হোসেন (২৭) নামের একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, প্রায় এক কেজি গাঁজা, ২০ বোতল ফেনসিডিল ও  ছয় জোড়া স্যান্ডেল জব্দ করা হয়।

রোববার গভীর রাতে পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার কৈবর্তখালী ও বড়মাছুয়া গ্রামে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওহিদুজ্জামান (৩৫) ও মিজানুর রহমান (৩৪) নামে দুই মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। এসময় ডিবি ও পুলিশের ৮ সদস্য আহত হয়েছেন।

ওহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র মামলাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে। তিনি একটি মাদক মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আর মিজানুরের  বিরুদ্ধে মাদক ও ডাকাতিসহ ৬টি মামলা রয়েছে। 

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নে রাত ২টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী আবু সাঈদ বাদশা ওরফে লাল বাদশা (৪৫) নিহত হন। তার বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১১১ পিস ইয়াবা এবং একটি বন্দুক, তিনটি ককটেল, চার রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।

নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ভাগনগরকান্দি এলাকায় রাত ২টার দিকে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুল খালেক (৩৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। এসময় র‍্যাবেরও ২ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার ও বেশ কিছু ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। খালেকের বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক, চোরাচালান, অপহরণসহ ২০টি মামলা রয়েছে।

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর এলাকায় রাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের (পশ্চিম) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাতপরিচয় (৪০) এক ব্যক্তি নিহত হন। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।

রূপনগর থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, রূপনগরের ট-ব্লক এলাকায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে মাদক বিক্রেতারা অবস্থান করছে, এমন খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাত ৩টার দিকে সেখানে যায়। অবস্থা বেগতিক বুঝে মাদক বিক্রেতারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গোয়েন্দা পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ওই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে সাতক্ষীরা সদরের আগুনপুর গ্রামের একটি মৎস্য ঘের সংলগ্ন কাঁচারাস্তা থেকে সোমবার সকালে  দু’টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।  পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, মাদক ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বিক্রেতাদের দু’পক্ষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এ প্রাণহানি হয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ মে ২০১৮/ডেস্ক/আআ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন