আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং
সিলেটভিউ ডেস্ক :: ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে নাড়ীর টানে ছুটে গিয়েছে মানুষ। দেশের সড়ক, রেল, নৌপথে ছিল উপচেপড়া ভিড়। তাদের সবার উদ্দেশ্য ছিল প্রিয় জনদের সাথে বিশেষ দিনটি উদযাপন করা। সাধারণত ঈদের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ২০ রমজান থেকেই মানুষের তোড়জোড় শুরু হয়।
এবারের ঈদ যাত্রা হয়েছে বিগত সব বছরের থেকে ব্যতিক্রম। বাড়ি ফেরা মানুষের ভোগান্তি যাতে না হয় সে জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল এবং বিগত বছর গুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী সমাধান করা হয়েছিল যাতে ঈদ যাত্রা হয় নির্বিঘ্নে। এবার ঈদে দেশের মহাসড়কের অবস্থা ছিল বেশ ভালো অর্থাৎ দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক গুলো চার লেনে উন্নীত করার ফলে যাত্রীবাহী পরিবহন যাতায়াতে কোনো সমস্যা হয়নি। ঈদ উপলক্ষে পুনরায় ঠিক করা হয়েছিল মহাসড়ক গুলো। ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের কথা চিন্তা তাদের আসা যাওয়ার সুবিধার্থে ১২ জুন চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেন উন্মুক্ত করা দেয়া হয়েছিল। যেহেতু এবারের ঈদ অনেকটা দুর্যোগপ্রবণ মৌসুমে হয়েছিল তাই বাড়তি নজর ছিল নৌপথেও।
ফিটনেসবিহীন গাড়ি যাতে মহাসড়কে না থাকে এজন্য তৎপর ছিল ভ্রাম্যমান আদালত। বিগত ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলের ফলে সৃষ্টি হতো যানজট ,শুরু হতো ভোগান্তি। প্রায় সময় যাত্রীবাহী গাড়ি মাঝ পথে বন্ধ হয়ে সৃষ্টি করতো বিলম্বনা। নষ্ট গাড়ি সরানোর জন্য প্রয়োজন সময়ের। আর এই সময়ের ভিতরেই সৃষ্টি হতো তীব্র যানজট। এবার এই ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দূর করার জন্য ঈদের আগের থেকেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।
যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহ থেকে শুরু করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো এবং কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত কোনো ভোগান্তি যাতে না হয় সে জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল । ঈদ যাত্রা বিষয়ক ভোগান্তি নির্মূল করতে জোরদার ভূমিকা পালন করেছে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের বিশিষ্ট জন সহ অনেক নগর পরিকল্পনাবিদ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ জুন ২০১৮/ডেস্ক/এসডি