আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশে পাচ্ছেননা বুলবুল, দলের পূর্ণ সমর্থনে এগিয়ে লিটন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৭-১৮ ২২:৪৬:৪৭

আসন্ন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে নগরীজুড়ে। গত ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের পর নিজ নিজ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণায় নেমে পড়েন প্রার্থীরা। ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

রাসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় ঐক্যের দিক দিয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন লিটন।

রাজশাহীর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লিটনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  স্থানীয় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বুলবুলের পাশে রয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও। রাজশাহী নির্বাচনের হালচালের বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রের নেতারা। এছাড়া কেন্দ্রের যেসব নেতাদের স্থানীয় নির্বাচনী প্রচারণায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই তারা অনেকেই লিটনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। সব মিলিয়ে অন্য মেয়র প্রার্থীদের তুলনায় প্রচারণার দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন।

এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিপাকে রয়েছেন বুলবুল। রাজশাহীর স্থানীয় বিএনপির অন্তঃকোন্দলের জের ধরে রাজশাহী বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীকেই সক্রিয়ভাবে পাশে পাচ্ছেননা বুলবুল। এমনকি বিএনপির অনেক নেতাকর্মী গোপনে গোপনে লিটনের পক্ষে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছে লিটনের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী। স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পক্ষ থেকেও কোনো প্রকার সহযোগিতা কিংবা সমর্থন পাচ্ছেননা বুলবুল। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের স্থানীয় নির্বাচনে প্রচারণায় নামতে কোনো আইনি বাধা না থাকলেও কেন্দ্রের কোনো নেতাকে এখন পর্যন্ত বুলবুলের নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যায়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে দেয়া কিছু নির্দেশনা অমান্য করার কারণেই এই বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বুলবুল ও  বিএনপির কেন্দ্রের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে। কেন্দ্রের সাথে বুলবুলের মনোমালিন্য সৃষ্টির পেছনে রাসিক নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে বুলবুলের প্রচারণার জন্য পাঠানো টাকার হিসেব দিতে না পারাটাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জানা যায় কেন্দ্র থেকে বুলবুলকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ৭ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। বুলবুলকে পাঠানো এই টাকা নিয়ে এক ধরণের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বুলবুল ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। নির্বাচনের প্রচারণায়  কোন কোন খাতে এই টাকা ব্যয় হবে দলের হাইকমান্ডের কাছে  তার সঠিক কোনো হিসেবে দিতে পারেনি বুলবুল।  ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনে  শঙ্কা থেকে কেন্দ্রের পাঠানো টাকা নির্বাচনী প্রচারণায় খরচ না করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছেন বলে ধারণা করছেন বুলবুলের নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করছেন এমন কয়েকজন কর্মী।

এখন দেখার অপেক্ষা কেন্দ্রের নেতাদের সাথে বৈরী সম্পর্ক কাটিয়ে কিভাবে নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করেন বুলবুল।

 

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন