Sylhet View 24 PRINT

কোটা সংস্কার আন্দোলন বিপথে যায় কার ইশারায়?

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-১৩ ২২:২৭:৩১

বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত হওয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলন সফল হয়েছে। আবার এমন অনেক আন্দোলনই সংঘটিত হয়েছে যা জনমানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েও কিছু সুবিধাভোগী মানুষের কারণে আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য থেকে ভিন্ন ধারায় সরে গেছে। মূলস্রোত থেকে সরে যাওয়া একাধিক আন্দোলনের মতোই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়েও। সামাজিক ইস্যুতে কাজ করা অনেক বিশ্লেষকই বলছেন, কোটা সংস্কার মূল ধারা থেকে সরে গেছে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের ইশারায়।

আন্দোলনের সূত্রপাত ও এর বিস্তারের ধারাবাহিক পর্যায় বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিবিরের রাজনীতি অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ থাকায় ১৯৯৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে সাধারণ ছাত্রের ব্যানারে প্রথম আন্দোলনে নামে ছাত্র শিবির। পরে ২০১৩ থেকে ২০১৬’র বিভিন্ন সময়ে আবারও জেগে ওঠে কোটা সংস্কার আন্দোলন। যা ২০১৮ সালে এসে নতুনমাত্রায় মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। প্রাথমিকভাবে এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

অনুসন্ধানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে সনাক্ত করা হয়েছে বিতর্কিত ফটো সাংবাদিক, দৃক গ্যালারী ও পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমের সম্পৃক্ততা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে এ পর্যন্ত জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে তার সম্পৃক্ততা একেবারেই নতুন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্নরূপ দিতে শিরিন হক, রেজাউর রহমান লেনিন এবং অন্য একাধিক ব্যক্তির সাথে ই-মেইলে যোগাযোগ রাখেন। এমনকি আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকাতে এ আন্দোলন নিয়ে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করতে সচেষ্ট থেকেছেন। এর অংশ হিসেবে ৪ জুলাই লন্ডনে অবস্থানরত সংবাদকর্মী শিরিনকে ই-মেইলে ভিন্ন আঙ্গিকে এ সম্পর্কিত একাধিক প্রেস রিলিজ পাঠান।

এছাড়া কোটা আন্দোনকে ঘিরে গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ‘ল এন্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার- এ (বিআইএলআইএ) গোলটেবিল বৈঠক করেন।

সম্প্রতি সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেওয়া এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রের দায়ে শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর বিভিন্ন অনুসন্ধানে বাংলাদেশের বিতর্কিত অনেক ইস্যুতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে এবং অনুসন্ধানে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে- ভেস্তে যাওয়া বিভিন্ন আন্দোলন-কর্মসূচি খঁতিয়ে দেখার সময় এসেছে। না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পুরো জাতি।

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.