আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

ঢাকা হয়ে বুলেট ট্রেন ছুটবে কলকাতা-চীন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-১৪ ০০:৫১:৫৪

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও মিয়ানমান হয়ে চীনের কুমিং প্রদেশ থেকে কলকাতায় বুলেট ট্রেন সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা করছে চীন। গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কলকাতায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা ঝানউ এ তথ্য জানিয়েছেন। সূত্র : এনডিটিভি।

সংবাদ সম্মেলনে ঝানউ বলেন, চীন এবং ভারতের যৌথ প্রচেষ্টায় দ্রুত গতির এই ট্রেন সেবা চালু করতে চায় তার দেশ। যদি এই রেল সেবা চালু করা যায় তাহলে এর ফলে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় কুনমিং প্রদেশ থেকে কলকাতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, দুই হাজার আটশ কিলোমিটারের এই প্রকল্পের আওতায় মিয়ানমার এবং বাংলাদেশও যথেষ্ট সুবিধা পাবে। তিনি বলেন, এই রুটে আমাদের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর ফলে দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নতির সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে। ঝানউ বলেন, এই রেল সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমারের (বিসিআইএম) মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।

রাষ্ট্রদূত মা ঝানউ বলেন, আমরা ২৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রেলপথের বিভিন্ন অংশে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে পারি। তাতে যেসব দেশের ওপর দিয়ে এই রেলপথ যাবে, তাদের সবারই অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা থাকবে। তিনি জানান, কুনমিংয়ে ২০১৫ সালে যে গ্রেটার মেকং সাবরিজিয়ন সম্মেলন হয়েছিল, সেখানেও এ পরিকল্পনার উল্লেখ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, এই রেলপথের লক্ষ্য হবে বিসিআইএম (বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার) করিডরে আন্তবাণিজ্য বাড়ানো। আর কলকাতা থেকে কুনমিং পর্যন্ত ইতিহাসের সেই সিল্ক রুট পুনরুদ্ধারে চীন বদ্ধপরিকর। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ট্রেনটি কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে ঢাকা হয়ে যাবে মিয়ানমার। ঘণ্টায় গড়ে ৪০০ কিলোমিটার বেগে মিয়ানমারের সীমান্ত পেরিয়ে চীনের কুনমিংয়ে গিয়ে থামবে এ বুলেট ট্রেন।

স্টেশনগুলোতে দওড়াতে যত কম সময় নেবে, তত তাড়াতাড়ি ট্রেন পৌঁছবে কলকাতা থেকে চীন। চীন সরকার চায়, বিশেষজ্ঞরা আরও বেশি করে এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করুন। এর পর বিষয়টি নিয়ে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। বুলেট ট্রেনের জন্য আলাদা লাইন তৈরি করতে হবে। সেক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যাও হতে পারে। চীনের কনস্যুল জেনারেলের দাবি, সবুজ সংকেত পেলে মাত্র দশ বছরেই বুলেট ট্রেন চালু করা সম্ভব।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন