আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ইলিশসহ পুলিশ আটক!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১০-২০ ০০:০৮:১৪

সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই মুন্সীগঞ্জে মা ইলিশসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এএসআই সোহেল রানাকে আটক করেছে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


জেলার লৌহজং উপজেলার শামুরবাড়ি এলাকায় পদ্মা নদীতে জেলেদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ইলিশ ছিনতাইকালে স্থানীয় জনতা ও জেলেদের হাতে আটক হয়েছেন পুলিশের এএসআই সোহেল রানা। পরে তাকে লৌহজং থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করারর পর স্থানীয় পুলিশ তাকে আটক করে। 

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানাকে লৌহজং থানায় সোপর্দ করা হয়। এসময় তার দুই সহযোগী মো. মোহন (২৪) এবং লিটন শেখকে (২২)  আটক করে জেলেরা। তাদের দুজনের বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার জৈনসার এলাকায়। 

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরায় নিয়োজিত জেলেদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ইলিশ নেওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ও জেলেরা তাদেরকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করে। এএসআই সোহেল রানার সঙ্গে আরও দুইজন সিভিল ছিল। তারাও আটক আছেন। 

তিনি আরও জানান, জেলেরা অভিযোগ করে গত বৃহস্পতিবার আটক এএসআই সোহেল রানা জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। পরে জেলেরা জানতে পারে সে লৌহজং থানায় কর্মরত নয়। পরে আবারও শুক্রবার জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ আনতে গেলে জেলেরা তাকে আটক করে। 

শ্রীনগর-লৌহজং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মাকসুদা লিমা জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সে জেলেদের কাছ থেকে জোরপূর্বক মা ইলিশ ও টাকা আদায় করার সময় জনতা ও জেলেরা তাকে ধরে ফেলে। পরে লৌহজং থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। তার বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এএসআই সোহেল রানা আগে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি ডিএমপিতে বদলি হন।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন