আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং

প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে ব্যারিস্টার মঈনুলকে আল্টিমেটাম

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১০-২১ ০০:৫৯:৪২

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরের টক শো’তে নারী সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন’ বলায় ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।


শনিবার বিকেলে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব’৭১ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে গৌরব’৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন বলেন, টিভির টকশো’তে যেভাবে ব্যারিস্টার মঈনুল একজন নারীকে অশালীনভাবে অপমান করেছেন, তার জন্য তাকে প্রকাশ্যে জনগণের সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এ ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমরা এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিচ্ছি। অর্থাৎ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলাম। এ সময়ের মধ্যে তিনি ক্ষমা না চাইলে আমরা তার বাড়ি ঘেরাও করবো। এমনকি এ দাবিতে সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের তরুণরা রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলবে।

প্রশাসনের উদ্দেশ্যে এফ এম শাহীন বলেন, ব্যারিস্টার মঈনুলের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিন। অন্যথায়,তরুণ সমাজকে দমিয়ে রাখতে পারবেন না।

মানববন্ধনে আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কুহেলী কুদ্দুস মুক্তি বলেন, এক নারীকে অবমাননা করে মঈনুল পুরো নারী সমাজের অবমাননা করেছেন।

মঈনুলকে উদ্দেশ্যে করে মুক্তি বলেন, আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

গৌরব’৭১ এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, কবি ও সাংবাদিক অসীম সাহা, ডা. শাহাদত হোসেন মিকু,মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার প্রমুখ।

এছাড়া মানববন্ধনে বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্রসমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে ব্যারিস্টার মঈনুলের কুশপুতুল দাহ করা হয়। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শেষ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানা। এতে অতিথি ছিলেন মাসুদা ভাট্টি ও সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। আলোচনায় স্টুডিওর বাইরে থেকে যুক্ত হন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন।

আলোচনার ফাঁকে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল— সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে যে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’

এ ঘটনায় মঈনুলের বিরুদ্ধে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই ঘটনার প্রতিবাদেই আজকের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন