আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

গৌরবময় বিজয়ের ৪৭ বছরে বাংলাদেশ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১২-১৬ ১২:৪৯:০৯

নিউজ ডেস্ক: বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবের দিন ১৬ই ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি প্রাণের অসাধারণ শৌর্য, ত্যাগ, সংগ্রাম এবং ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগে শত্রুমুক্ত হয় বাংলাদেশ। টানা নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে সূচিত হয় বাংলাদেশের বিজয়। একটি স্বাধীন ভূ-খণ্ড পায় বাঙালি। এমন গৌরবময় বিজয়ের ইতিহাসে আর কোন জাতির নেই।

এমন বিজয়ের অনন্য সেই অর্জনের ৪৭ বছর কেটে গেছে কালপ্রবাহে। দীর্ঘ শোষণ-শাসন ও নিপীড়নের পর পরাজিত হানাদার পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাঙালি স্বাধীন অর্ধযুগ ধরে। তাই প্রতিটি বিজয় দিবস মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবোধে উদ্দীপ্ত করে দেশবাসীকে, শাণিত করে অনন্ত দেশপ্রেম।

পদ্মা-মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, সুরমা-কুশিয়ারা-কর্ণফুলীবাহিত আমাদের বাংলা ব-দ্বীপ তথা বাঙালি-বাংলাদেশের ইতিহাস যদি হয় হাজার বছরের, তবে সেই ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় দিন ১৬ ডিসেম্বর। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশকে শত্রুমুক্ত করার মহান বিজয় দিবস।

বাঙালির এই জনপদ কখনো মুঘল, কখনো পাঠান, কখনো ব্রিটিশ, কখনো পাঞ্জাব-পাকিস্তানিদের শাসনাধীন ছিলো। কখনো ছিলো ঔপনিবেশিকতার নিগড়, কখনো ধর্মভিত্তিক দ্বিজাতিতত্ত্বের করাল আগ্রাস। তবে সব ছাপিয়ে প্রথমে ভাষার দাবিতে তারপর স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার আন্দোলন ও সবশেষে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে চূড়ান্ত মুক্তির সংগ্রামে স্বাধীনতার ঘোষণা আর মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্ত ঢেলে দিয়ে বীর বাঙালির বিজয়।

কিন্তু একদিকে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বীরত্ব-আত্মত্যাগ এবং হানাদার পাকিস্তানি ও রাজাকার-আলবদরদের গণহত্যা, ধর্ষণ-নির্যাতন, নিপীড়ন নিয়ে তথ্য বিভ্রাট এখনো কাটেনি। তাই বাংলাদেশের যুদ্ধজয়ের-বার্ষিকীতে এ প্রজন্মের দায়িত্ব অনেক। পার্থক্য যেমন জানতে হবে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের, তেমনি স্বাধীনতার ডাক দিয়ে একাত্তরের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের বিশ্বস্বীকৃতির তাৎপর্য বুঝতে হবে আমাদের।

বিজয়ের ৪৮ তম বার্ষিকীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শান দিয়ে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভালোবাসি দেশ ও দেশের কল্যাণকে। এই বিজয়ের দিনে ‘বাংলা নিউ পোস্ট’ এর পক্ষ থেকে দেশবাসীকে জানাই অনিন্দ্য শুভেচ্ছা ও স্বাধীন বাংলার অঙ্গীকার।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন