Sylhet View 24 PRINT

২০ লাখের কালা মানিকের দাম ৩ লাখও বলছে না!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-১১ ১৮:৩২:৪০

সিলেটভিউ ডেস্ক :: দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ পশুর হাট চট্টগ্রামের সাগরিকা বাজারের সবচেয়ে বড় গরুটির নাম কালা মানিক। শুরুতে ২০ লাখ টাকা দাম হাঁকা হলেও ঈদের আগেরদিন (রোববার) শেষ মুহূর্তে গরুটির দাম তিন লাখ টাকাও বলছে না কেউ। শুধু কালা মানিক নয়, চট্টগ্রাম নগরের ৯টি পশুর হাটের প্রতিটির অবস্থা এখন এমনিই। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ ব্যাপারিরা।

রোববার দুপুরে সাগরিকা পশুর হাটের ব্যাপারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পশু বিক্রি এবং কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে তারা হতাশ। শনিবার পর্যন্ত পশুর দাম যথেষ্ট ভালো পেলেও আজ সকাল থেকে পশুর দাম কমে গেছে। জীবিকার তাগিদে অনেকেই অপেক্ষাকৃত কম দামে পশু বিক্রি করে দিয়েছেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী দাম না পাওয়ায় পশু বিক্রি করতে পারেননি।

সাজিদ এ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী সালাহউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিজের ফার্মে মোটাতাজা করা ২৫টি গরু নিয়ে হাটে এসেছিলাম। মাত্র ১০টি বিক্রি করেছি, তাও লোকসানে। খামারের সবচেয়ে বড় গরুটার দাম চেয়েছিলাম ২০ লাখ টাকা। শুরুর দিকে ৮-১০ লাখ টাকায় অনেকে কিনতে চাইলেও, এখন ৩ লাখ টাকাও কেউ বলছেন না।’

তিনি বলেন, ‘যে ১০টি গরু বিক্রি করেছি, এর প্রতিটিতে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছি। শেষদিনে বাজারে ক্রেতাও কম, দামও কম বলছে।’


কুষ্টিয়া থেকে ১৭৫টি গরু নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছেন ব্যাপারি আবদুর লতিফ। তিনি জানালেন, গত ১০ দিনে তার ১৫০টি গরু বিক্রি করেছেন। বাজারের শেষ মুহূর্তে এখনও ২৫টি গরু রয়ে গেছে।

আবদুর লতিফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রথম দিকে ভালো দাম পেলেও গতকাল থেকে গরুর দাম কমছে। শেষ যে ৫০টি গরু বিক্রি করেছি তার প্রতিটিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসান দিতে হয়েছে। জানি না বাকি ২৫টা গরু বিক্রি করতে পারব কিনা?’

ব্যাপারিরা জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবার ভারত থেকে গরু আসেনি। দেশি পশুতেই কোরবানির চাহিদা মেটাতে হবে। তাই গরুর দাম বাড়বে এমন প্রচার শেষ পর্যন্ত ব্যাপারিদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত কিংবা মিয়ানমার থেকে সেভাবে গরু না আসলেও প্রান্তিক কৃষক ও খামারিরা যে বিপুলসংখ্যক গবাদি পশু সরাসরি চট্টগ্রামের হাটগুলোতে এনে জড়ো করেছেন তা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। অথচ শুরু থেকেই গরুর ব্যাপারিরা তা খেয়াল করেননি। বরং শেষ সময়ে গরু সংকট হবে এমন ধারণা থেকে শুরু থেকেই তারা ছোট-বড় সব সাইজের গরুরই চড়া দর হঁকিয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই শেষ সময়ে দরপতন ঘটেছে।’

ব্যাপারি আবদুর লতিফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আসলে শুরু থেকেই গরুর দাম খুব বেশি ছিল। একইভাবে বাজারে পশুর আমদানি ছিল অনেক। এসব কারণে ভাগে গরু কোরবানি বেড়ে গেছে। কোরবানিদাতারা দাম বেশি দিতে রাজি নয়। বাজারের এ পরিবর্তনটা ব্যাপারিরা ধরতে পারেনি। তাই এখন লোকসান দিয়ে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে।’


তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে বৈধভাবে গরু না আসায় চোরাই পথে চড়া দামে গরু কিনতে বাধ্য হন ব্যাপারিরা। এরপর ছয় মাস বা এক বছর লালন-পালনের খরচতো আছেই। সব মিলিয়ে খরচ আর বাজারের দামের কোনো মিলই নেই।’

এদিকে দাম পড়ে যাওয়ার পর ব্যাপারীদের অনেকে গরু ফেরত নিয়ে যেতে চাইলেও ইজারাদাররা তা দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা গরুর দর পড়ে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রামে নির্ধারিত অস্থায়ী হাটের পাশাপাশি অলি-গলি ও খোলা মাঠে অবৈধভাবে গরু-ছাগল বেচাকেনাকে দায়ী করেছেন।


সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১ আগস্ট ২০১৯/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.