Sylhet View 24 PRINT

বন্ধুকে হত্যার নির্মম বর্ণনা দিলো বন্ধু

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-১৯ ২১:৪৮:৪৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: নাটোরে পরিত্যক্ত সরকারি কোয়ার্টারে মিলন হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মিলন হোসেনের অ্যাকাউন্টে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে উপার্জিত টাকা না পেয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। মিলনের বন্ধু নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকার খোকন চন্দ্র শীলের ছেলে সাহস শীল ও তার মামাতো ভাই কুষ্টিয়ার চিথলিয়া গ্রামের শ্যামল কুমার বিশ্বাসের ছেলে পার্থ বিশ্বাস তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

ঘটনার নয়দিন পর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ। নিহত মিলন হোসেন সদর উপজেলার সিঙ্গারদহ গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মিলন হোসেনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

নাটোরের এসপি লিটন কুমার সাহা বলেন, মিলন হোসেনের অ্যাকাউন্টে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে উপার্জিত টাকা না পেয়ে সাহস শীল তার বন্ধু মিলন হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তার মামাতো ভাই কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার চিথলিয়া গ্রামের শ্যামল কুমার বিশ্বাসের ছেলে পার্থ বিশ্বাসকে ডেকে আনে। ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় মোবাইল করে মিলনকে শহরের হাফরাস্তা এলাকা থেকে আলাইপুর এলাকায় পিডিবির পরিত্যক্ত একটি কোয়ার্টারে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে দুজনে মিলে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিলনকে হত্যা করে। পরদিন অজ্ঞাত হিসেবে পরিত্যক্ত ওই ভবন থেকে মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এসপি লিটন কুমার আরও বলেন, মিলন হত্যাকাণ্ডের পর পার্থ কুষ্টিয়ায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে মিলনের মোবাইলের সিম পার্থর মায়ের মোবাইলে ঢুকিয়ে মিলনের কাকা কাজলের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপরদিকে মিলনের অপর একটি মোবাইল সাহস নিয়ে বগুড়ায় চলে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ থেকে পার্থকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকোরাক্তির ভিত্তিতে বগুড়া থেকে সাহসকে গ্রেফতার করে নাটোরে নিয়ে আসে পুলিশ। সোমবার আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় তাদের। এরপর আদালত তাদের স্বীকারোক্তি গ্রহণ শেষে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ১০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে শহরের আলাইপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত সরকারি কোয়ার্টার থেকে মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘটনাস্থল থেকে দুই জোড়া স্যান্ডেল, একটি লাঠি ও দড়ি উদ্ধার করেছিল পুলিশ।


সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ আগস্ট ২০১৯/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.