Sylhet View 24 PRINT

কেরানীগঞ্জের আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-১৫ ২২:১১:৫৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে দগ্ধ আরও ৫ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হল।

সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ১৩ জন।

রোববার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজ্জাক (৪৫), মোসতাকিন (২৩), আবু সাঈদ (২০) ও সুমন দেওয়ান (২২)। এছাড়া নিজ বাড়িতে মারা গেছেন দুর্জয় দাস (১৮)।

এর মধ্যে দুর্জয় ও রাজ্জাকের বাড়ি কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায়। মোসতাকিনের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়। সাঈদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে এবং সুমনের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়।

ইন্সটিটিউটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান রাজ্জাক, ৯টায় মোসতাকিন, বেলা পৌনে ১২টায় আবু সাঈদ এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যান সুমন।

এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুর্জয়কে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে গিয়েছিল তার পরিবার। কেরানীগঞ্জের হিজলতলা বাজারে নিজ বাড়িতে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান তিনি।

ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আমেরিকার ন্যায় সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে আসছি। কিন্তু, দগ্ধ রোগীদের বাঁচাতে পারছি না। সবার শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাদের বাঁচানো খুবই কঠিন। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

ছোট ভাইয়ের পর চলে গেলেন বড় ভাই: বুধবার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছিলেন দুভাই আলম ও রাজ্জাক। পরে তাদের ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান আলম। ৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন রাজ্জাকও।

জানা গেছে, নিহত দুই ভাই ওই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। কারখানা ঘেঁষেই ছিল তাদের পৈতৃক ভিটা। সেখানে আরও দুই ভাইয়ের সঙ্গে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন তারা। আলম ও রাজ্জাকের দুটি মেয়ে রয়েছে।

এদিকে দুপুরে রাজ্জাকের মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে পৌঁছলে কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ। রাজ্জাকের স্ত্রী আর কিশোরী মেয়ের আর্তনাদে উপস্থিত লোকজনের চোখও ভারি হয়ে উঠে। একসঙ্গে দুই ভাইকে হারিয়ে অপর দুই ভাই ও তিন বোনের বিলাপে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষাও ছিল না প্রতিবেশীদের।

নিহত রাজ্জাকের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শরীরে আগুন লাগার পর দৌড়ে বাসায় আসেন আলম। পানি পানি বলে চিৎকার করছিলেন। স্বজনরা পানি দিয়ে গায়ের আগুন নেভান। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা রাজ্জাককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৫ ডিসেম্বর ২০১৯/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.