Sylhet View 24 PRINT

অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারে কেন ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নয়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-২৭ ১৭:৫৪:১৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: প্রয়োজন ছাড়া নোয়াখালীর মাইজদির এক প্রসূতির অস্ত্রোপচারের ঘটনায় স্থানীয় ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কেন ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ চিকিৎসা অবহেলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীকে এই রুলের বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন।

এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জেআর খান রবিন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শাম্মী আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে লক্ষ্মীপুরের জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা নিপাকে ২০১৯ সালের ৮ জুন সন্তান প্রসবজনিত কারণে নোয়াখালীর ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, রোগীর সিজার বাধ্যতামূলক। অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। এরপর ৯ জুন চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। যদিও আল্ট্রাসনোগ্রাম অনুযায়ী প্রসূতির জটিলতা ছিল না, এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল না। পরে ১২ জুন প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এরপর প্রসূতির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে পুনরায় গত ১৪ জুন আবার একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সেলাইয়ের জায়গায় ক্ষত দেখা দেয়।

চিকিৎসকরা সেলাইতে ক্ষতের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে বিষয়টি জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং প্রসূতির বাবার অনুরোধে অন্য হাসপাতালের দুজন চিকিৎসক প্রসূতির অবস্হা আশঙ্কাজনক থাকায় রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।

গত ২০ জুন বিআরবি হাসপাতালে ভর্তির পর দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। বিআরবি হাসপাতালে সুস্থ হন প্রসূতি। এ হাসপাতালের চিকিৎকরা সুপারিশে বলেন, তার প্রথম অস্ত্রোপচার দরকার ছিল না। সবমিলিয়ে প্রসূতির চিকিৎসায় তার পরিবারের ব্যয় হয় পাঁচ লাখ টাকা। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ ২০ লাখ টাকাসহ ২৫ লাখ টাকা চেয়ে ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা ইতির বিরুদ্ধে এ রিট দায়ের করা হয়।

২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার গোরারবাগ গ্রামের জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা নিপার পক্ষে আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন এ রিট দায়ের করেন।

সৌজন্যে :: জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৭ জানুয়ারি ২০২০/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.