Sylhet View 24 PRINT

ভিক্ষুকের কাছে ফেলে যাওয়া সেই শিশুকে দত্তক নিলেন ডিসি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-২৮ ২০:১০:১৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফেলে যাওয়া তিনদিনের শিশুটিকে আদালতের আদেশে দত্তক নিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।

সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক রফিকুল বারী এই আদেশ দেন। বর্তমানে শিশুটি ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানার হেফাজতে রয়েছে।

আগামী বৃহস্পতিবার জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসার ভৈরবে এসে শিশুটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা প্রশাসকের নিকট হস্তান্তর করবেন বলে জানান ইউএনও।

সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভৈরবের ইউএনও লুবনা ফারজানা হাসপাতালে গিয়ে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কোলে নিয়ে তার বাসায় নিয়ে আসেন। আদালতের আদেশ দেয়ার পর কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক তাকে নির্দেশ দিয়েছেন শিশুটিকে তার হেফাজতে আনতে।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক নারী ভৈরবে বাস থেকে নেমে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক ভিক্ষুকের কাছে শিশুটি রেখে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। ওই ভিক্ষুক এক ঘণ্টা পর স্থানীয় এক যুবক আশরাফুলকে ঘটনাটি জানান। পরে তিনি ঘটনাটি ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানাকে অবহিত করেন।

এরপর ইউএনওর নির্দেশে আশরাফুল এ দিন রাত ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. বুলবুল আহমেদের নিকট শিশুটি রেখে আসেন। এরপর ইউএনও'র নির্দেশে শুক্রবার রাতেই পুলিশ এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডি করে। শিশুটি এখন সুস্থ আছে বলে জানান হাসপাতালের ডাক্তার বুলবুল আহমেদ।

জানা গেছে শিশুটি উদ্ধারের পর গত রোববার ইউএনও লুবনা ফারজানার নির্দেশে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে শিশুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে একটি আবেদন করেন। আদালতের বিচারক রফিকুল বারী এ দিন রোববার কোনো আদেশ দেননি।

এ দিকে শিশুটি দত্তক নিতে ইউএনও এবং হাসপাতালের ডাক্তারের কাছে কমপক্ষে ২০ জন আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান ইউএনও। এর মধ্যে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক সোমবার শিশুটিকে দত্তক নিতে আবেদন করেন। বিকালে বিচারক তাকে দত্তক দেয়ার আদেশ প্রদান করেন।

আদেশ পাওয়ার পর সোমবার রাতে শিশুটিকে পরম মমতায় নারী ইউএনও লুবনা ফারজানা নিজের কোলে তুলে বাসায় নিয়ে আসেন।

ইউএনও লুবনা ফারজানা জানান, শিশুটির নিরাপদ হেফাজতের জন্য সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে আদালতে আবেদন করা হয় গত রোববার। কিন্তু আদালত রোববার আদেশ দেননি। সোমবার ডিসি সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী শিশুটি দত্তক নেয়ার আবেদন করলে আদালত ডিসিকে দত্তক দেয়ার আদেশ দেন।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী সুমনা আনোয়ারের আগেই ইচ্ছা ছিল কোনো স্থানে শিশু পেলে দত্তক নেব। এরই মধ্যে সুযোগ পেয়ে সোমবার আদালতে আবেদন করি। আদালত শিশুটি আমার কাছে দত্তক দিতে আদেশ দেন। আদেশটি পেয়ে আমি ও আমার স্ত্রী অনেক খুশি।

তিনি বলেন, আমার দুই বছরের একটি মেয়ে আছে। তার নাম সামিহা চৌধুরী। এখন আমার দুটি মেয়ে হল। শিশুটিকে লালন-পালন করে মানুষের মতো মানুষ করার চেষ্টা করব।

সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ জানুয়ারি ২০২০/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.