Sylhet View 24 PRINT

করোনার ভিটিএম কিট তৈরি হলো দেশে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৫-২৯ ০০:৫৭:১৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর)-এর গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস’ (ডিআরআইসিএম) করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটিএম বা ভাইরাস ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া কিট তৈরি করেছে।

ডিআরআইসিএমের পরিচালক ড. মালা খান জানান, তিনি গত মঙ্গলবার উপহার হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার কাছে ৫০০০টি ভিটিএম কিট পাঠিয়েছেন। জানতে চাইলে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, হ্যাঁ, কিট আমরা পেয়েছি।

ডিআরআইসিএম-এর গবেষণা দলের প্রধান ড. মালা খান জানান, প্রোটিন এবং অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ ধরনের দ্রবণের মাধ্যমে ভাইরাস সংগ্রহ, ট্রান্সপোর্ট এবং দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায়। এটা তৈরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী।

তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠিত টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে আনতে গিয়ে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে আর পরীক্ষাটা ব্যয়বহুল। কেবল আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই এই কিটের এখন চাহিদা রয়েছে, আর সে হিসেবে সাপ্লাই না হলে যা হয়, তার মূল্য বেড়ে যায়।

ড. মালা খান বলেন, দুই মাস আগে কিট তৈরির কাজ শুরু হয়। কিট তৈরি হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নমুনাসহ ৪ মে চিঠি দেওয়া হয়। তারা সব ধরনের পরীক্ষা শেষে গত ১৫ মে আমাদের জানায়, এর কার্যকারিতায় তারা সন্তুষ্ট, ব্যবহার করা যেতে পারে এবং তারা ব্যবহার করবে। তিনি আরও বলেন, যদি শুধু উৎপাদন খরচটা দেওয়া হয় তাহলে প্রতিদিন পাঁচ হাজার কিট তৈরি করে দেওয়া যাবে। প্রতিটি কিটের দাম পড়বে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর অবস্থা আরও একটু স্বাভাবিক হলে খরচ আরও কমে আসবে।

জানা যায়, ভিটিএম কিটে সংগৃহীত নমুনা ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় তিন দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। তাই সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে স্যাম্পল বাতিল হওয়া বা বাতিলের কারণে একই নমুনা একাধিকবার সংগ্রহ ও টেস্ট করার দীর্ঘ প্রক্রিয়াটি এড়ানো সম্ভব হবে। দায়িত্বরত টেকনিশিয়ান অথবা ল্যাবরেটরিতে কার্যরত গবেষকদের হ্যান্ডলিং করার সময় কোনোভাবেই যেন ক্রস-কন্টামিনেশন না হয়, সে বিষয় বিবেচনা করেই সল্যুশন রাখার টিউব নির্বাচন করা হয়েছে।

টিউবটি হালকা, সহজে এক হাতে ধরা যায় এবং এতে রাবার স্টপার্স-সংবলিত মুখ থাকায় চুইয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনাও নাই। ড. মালা খান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আনোয়ার হোসেন ও বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করছেন।

সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.