Sylhet View 24 PRINT

ভারতে প্রদীপের দুই অভিজাত বাড়ি ও কিছু অজানা কথা!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৮-০৭ ১৯:৩৮:২৩

সিলেটভিউ ডেস্ক :: জমি দখল, ডাকাতের মতোই লুটপাট; মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি-নির্যাতন; ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়; প্রথমে আতঙ্ক তৈরি করে পরে ইয়াবা কারবারি ও জলদস্যুদের সঙ্গে আঁতাত; ছোট ইয়াবা কারবারিদের নির্মূল করে বড় কারবারিদের রেহাইয়ের সুযোগ করে দেওয়াসহ বহু অভিযোগ কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সদ্য কারাগারে যাওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে। কিছু অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি হয়েছিলেন সাময়িক বরখাস্ত। তাঁকে প্রত্যাহার ও বদলিও করা হয়েছিল। এরপরও অদৃশ্য ইশারায় পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ থানায় ওসির দায়িত্ব। ধামাচাপা দিয়ে গেছেন অভিযোগের পাহাড়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছাত্রজীবনে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত এবং এক শীর্ষস্থানীয় নেতার কর্মী হিসেবে পরিচিত প্রদীপ ভোল পাল্টে প্রভাবশালী ওসি হয়েছেন। সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা রাশেদ হত্যায় অভিযুক্ত হয়ে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন টের পেয়েই অসুস্থতার ভান করে চট্টগ্রামের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে মিথ্যা মামলায় ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর ঘটনায় ধরা পড়ে একইভাবে হাসপাতালে ভর্তি থেকে তদবির করেন প্রদীপ। তখন সাময়িক বরখাস্ত হলেও পরে ফিরে আসেন বীরদর্পে। কর্মজীবনে দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করে হয়েছেন বহু কোটি টাকার সম্পদের মালিক। সিনহা রাশেদ খুনে অভিযুক্ত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।

এদিকে প্রদীপের নির্দেশে সিনহাকে গুলি করা পরিদর্শক লিয়াকত আলী ছিলেন বাহারছড়া এলাকার আতঙ্ক। মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ওসির নির্দেশে নির্যাতন এবং কথিত বন্দুকযুদ্ধ করে আলোচিত হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধেও ভয় দেখিয়ে অবৈধ সুবিধা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা জানান, আত্মীয়-স্বজনের নামে কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে জমি কিনে বাড়ি করেছেন প্রদীপ। রয়েছে গাড়ি। তাঁর স্ত্রী চুমকীর নামে চট্টগ্রাম মহানগরে ছয়তলা বাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাট, একাধিক গাড়ি ও অন্যান্য সম্পদের তথ্যও পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এরই মধ্যে তাঁদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম কার্যালয়। একাধিক সূত্র দাবি করেছে, ভারতের আসামের রাজধানী গুয়াহাটি শহরের পল্টন স্টেশনের পাশে প্রদীপের দুটি অভিজাত বাড়ি রয়েছে।

১৯৯৫ সালে জোট সরকারের আমলে কক্সবাজারের শীর্ষস্থানীয় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের ঘনিষ্ঠকর্মী বলে পরিচিত প্রদীপ পুলিশে উপপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের আস্থাভাজন বনে যান প্রদীপ। ২০১৮ সালের মহেশখালী থানার ওসি থাকা অবস্থায় নিজেকে আওয়ামী লীগের মতাদর্শী প্রমাণে উপজেলা কমিটির সভায় নিয়মিত হাজির হতেন প্রদীপ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ছিলেন বিব্রত। তবে ক্ষমতাধর প্রদীপের ভয়ে কেউ আপত্তি জানাতে সাহস পাননি।


সৌজন্যে: পূর্বপশ্চিম
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৭ আগস্ট ২০২০/ডেস্ক/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.