Sylhet View 24 PRINT

হাসপাতালে কিশোরী ধর্ষণ, দু'দিন পরেই হয়ে গেল স্বামী-স্ত্রীর বিষয়!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-২৩ ২১:০৩:৩৬

সিলেটভিউ ডেস্ক :: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। ১১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে হাসপাতালের এক কর্মী তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ছিল মেয়েটির।

এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সমালোচনার ঝড় উঠে। স্থানীয় দালালদের নিয়ে ম্যানেজ করে গ্রাম্যভাবে রফা হওয়ায় মামলা দিতে রাজী হয়নি ধর্ষিতার পরিবার। ঘটনার কয়েক দিন পার হতেই ধর্ষক ও ধর্ষিতা দুইপক্ষই বলছে এটা স্বামী-স্ত্রী ভুল বোঝাবুঝির বিষয়।

ঘটনা তদন্তের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। বুধবার প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে তদন্তের বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানানো হয়নি।

ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য মাতুব্বরদের ম্যানেজ করে ধর্ষিতাকে বিয়ে করেন হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় অভিযুক্ত মো. মাজেদুল ইসলাম। স্থানীয় কাজী অফিসে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন বলে জানায় ধর্ষিতার পরিবার। স্থানীয়দের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ জানালেও ধর্ষিতার পরিবার মামলা দিতে রাজি হয়নি বলে জানায় থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে জ্বর ও শরীর ব্যথা নিয়ে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে ১২ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র (ছুটি) দেয়া হবে বলে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে নার্স তার পরিবারকে জানায়। ১১ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে হাসপাতালে কর্তব্যরত এক যুবক ওয়ার্ডবয় মাজেদুল ইসলাম তাকে ধরে নিয়ে হাসপাতাল ভবনের ভেতর তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ধর্ষিতার মা মেয়েকে বিছানায় না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় মেয়ের রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বিষয়টি তিনি নার্সকে ও ডাক্তারকে জানান। কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা বেগতিক দেখে কিশোরীকে মানিকগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

সিসি ক্যামেরাবেষ্টিত ভবনে কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন অনেক নারী। তাদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। সিসি ক্যামেরায় দেখলেই ধরা পড়বে ওই ধর্ষণের ঘটনা- এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশীদ জানান, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সাদিকসহ সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বিষয়টি গোপনীয় বলে প্রতিবেদনটি মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসে ব্যবস্থা নিতে অগ্রগামী করা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হলেও হাসপাতালের ভেতর অনৈতিক কাজ অনাকাঙ্ক্ষিত। এর দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না।

সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম বলেন, চিকিৎসা নিতে আসা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও নিন্দনীয়। হাসপাতালের ভেতরে এমন ঘটনা ঘটলে নারী রোগীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন। দোষী প্রমাণিত হলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করা উচিত।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ / যুগান্তর / জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.