Sylhet View 24 PRINT

ভাই-ভাবি ও ভাতিজাকে একাই নৃশংসভাবে হত্যা করেন দীন ইসলাম

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১০-৩১ ১৯:৩২:৫৩

সিলেটভিউ ডেস্ক :: গত বুধবার রাত ১০টার দিকে বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন পারভিন বেগম (৪৫)। এ সময় নিঃশব্দে ঘরে ঢুকেন দীন ইসলাম। পেছন থেকে পারভিনের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করেন তিনি। এ ঘটনা দেখে ফেলায় ভাতিজা লিয়নকেও আঘাত করেন দীন ইসলাম। এভাবে ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যা করেন তিনি।এরপর বড়ভাই আসাদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত ১১টার দিকে বড়ভাই আসাদ বাড়ি ফিরলে তাকেও শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে বাড়ির পাশে মাটিখুঁড়ে ভাই, ভাবি ও ভাতিজা মরদেহ মাটিচাপা দেন। এগুলো করতে গিয়ে ভোর হয়ে যায়। এভাবেই পুলিশের কাছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর যামষাইট গ্রামে নৃশংসভাবে ভাই, ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার বর্ণনা দেন দীন ইসলাম (৪৫)।  

আজ শনিবার বিকেলে ঘটনার মূলহোতা দীন ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। কিশোরগঞ্জের ৫ নম্বর আমলগ্রহণকারী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুন নূরের খাস কামরায় এ জবানবন্দি দেন তিনি। অন্যদিকে একই আদালতে হাজির করে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার অন্য তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। কাল রবিবার আদালতে এ রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে যেভাবে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে দীন ইসলাম, তারা মনে করছে বিচারকের সামনেও সে একই কথা বলেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কটিয়াদী থানায় নিহত আসাদের বড় ছেলে তোফাজ্জল বাদী হয়ে মূলহোতা দীন ইসলামসহ ৯জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ নিহতের ছোটভাই দীন ইসলাম, মা জুমেলা, বোন নাজমা ও ভাগ্নে আল-আমিনকে আটক করে। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, জমিজমা ও পারিবারিক কলহের জেরে দীন ইসলাম বুধবার রাতে প্রথমে তার ভাবিকে হত্যা করে, পরে তার ভাতিজাকে হত্যা করে। এরপর তার ভাই আসাদ বাজার থেকে আসা মাত্র শাবল দিয়ে বড়ভাইকেও হত্যা করে।

তিনি জানান, দীন ইসলাম একা হত্যা করলেও মরদেহ মাটিচাপা দেওয়াসহ অন্যান্য অপরাধে অন্যদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

পুলিশ সুপার জানান, গর্তের মধ্য থেকে নিহত আসাদ ও তার স্ত্রী পারভিনের মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। পুলিশ এগুলো উদ্ধার করেছে। তাছাড়া হত্যায় ব্যবহার করা শাবলটিও উদ্ধার করা হয়। মূলত জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটায় দীন ইসলাম।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩১ অক্টোবর ২০২০/কালের কণ্ঠ /জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.