Sylhet View 24 PRINT

মৃত্যুর ৬ বছর পর শ্লীলতাহানি মামলার আসামি!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০২-২৩ ১৯:২৬:২৭

সিলেটভিউ ডেস্ক ::  দিনাজপুরের বিরামপুরে মৃত্যের ৬ বছর পর দলিল উদ্দিন মন্ডল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও গুরুতর জখম করে ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ওই মৃত ব্যক্তিকে মামলার আসামি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই মামলায় তোফাজ্জল হোসেন নামের এক প্রতিবন্ধীকেও আসামি করা হয়।

২০ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিপক্ষ ১২ জন ব্যক্তিকে আসামি করে নাসির নামের এক ব্যক্তি থানায় মামলা দায়ের করেছে। তবে পুলিশ বলছে, মামলার বাদী থানায় এসে লিখিত এজাহার দিয়েছেন। বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাটলা বাজারে শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে গুরুতর আহত করে শ্লীলতাহানি, ছিনতাই, ভয় প্রদর্শন ও হুকুমের অভিযোগ এনে শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিরামপুর থানায় ১২ জনকে আসামি করে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের দছিম উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত ৮ নম্বর আসামি করা হয় দক্ষিণ দামোদরপুর (বাসুপাড়া) গ্রামের দলিল উদ্দিন মন্ডলকে। এ ছাড়াও ওই ঘটনায় একই এলাকার তোফাজ্জর হোসেন নামের এক শারীরিক প্রতিবন্ধীকেও আসামি করা হয়।

খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, ওই মামলার ৮ নম্বর আসামি দলিল উদ্দিন মন্ডলের বাড়ি দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সজতুল্ল্যা। দলিল উদ্দিন মন্ডল ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। সেই সময় ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান নাজির হোসেন স্বাক্ষরিত একটি মৃত্যুসনদ দেওয়া হয় দলিল উদ্দিন মন্ডল এর পরিবারকে।

এদিকে ওই মামলার এজাহারের ৫ নম্বর আসামি করা হয় মৃত সজতুল্ল্যা মন্ডলের ছোট ছেলে প্রতিবন্ধী তোফাজ্জল হোসেন তোফাকে। তবে, বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সালের ২৯ মে তোফাজ্জলকে একজন দীর্ঘস্থায়ী মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধী উল্লেখ করে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচয়পত্র প্রদান করে। তিনি নিয়মিত প্রতিবন্ধী ভাতাও পেয়ে আসছেন।

জানতে চাইলে মামলার বাদী নাসির উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে সাক্ষাতে কথা বলব। স্থানীয় কাটলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির হোসের বলেন, আমার জানামতে দলিল উদ্দিন মন্ডল একজন মৃত ব্যক্তি। তার ভাই তোফাজ্জল হোসেন তোফা একজন প্রতিবন্ধী। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাগণ বিষয়গুলো ভালোভাবে যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারো বিরুদ্ধে মামলা করা ঠিক নয়।

বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বাদীর লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারো বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/ কালের কণ্ঠ /জিএসি-১২

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.