Sylhet View 24 PRINT

পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছিল ভারতে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি তরুণীকে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৫-৩০ ১৭:৪৯:২৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ভারতের বেঙ্গালুরুতে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি তরুণীকে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হয়েছিল।  অবশেষে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  কেরালা রাজ্যের কোঝিকোড়িতে গত শুক্রবার শনাক্ত করার পর তাকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর সূত্র ধরে পরিবারের সদস্যেরা ওই তরুণীকে শনাক্ত করেন।

এরই মধ্যে ভিডিওর সূত্র ধরে গত শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে সেখানকার পুলিশ ঘটনার মূল হোতা রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়সহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে দুজন নারীও রয়েছেন। গ্রেপ্তার করা ছয়জনের মধ্যে দুই যুবক পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই তরুণীর বয়স যখন ২০, তখনই আসামিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।  এর মধ্যে দুজন তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলে জানা গেছে।

নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী ঢাকার মগবাজার এলাকার বাসিন্দা।  সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই তরুণী।  দুবছর আগে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার।  

তাকে উদ্ধার করা বেঙ্গালুরু পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এরই মধ্যে ওই তরুণী দুবাই গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়েছিল এবং প্রায় এক বছর ধরে তিনি সেখানকার একটি বারে নর্তকীর কাজও করেছিলেন।  কয়েক মাস আগে ওই তরুণী তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় মোহাম্মদ বাবা শেখের কথায় ভারতে ফেরেন।  বাবা শেখ নিজেও একটি পতিতাবৃত্তি চক্রের সদস্য।

এদিকে বাবা শেখ ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশ থেকে আসা নারীদের ভারতে বিউটি সেলুন ও গৃহকর্মীর কাজ জুটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেখিয়ে পাচার করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ জানায়, আর্থিক কলহ মেটানোর কথা বলে ওই তরুণীকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি একটি ঘরে ঢুকতেই অভিযুক্তরা সহিংস হয়ে ওঠে।  তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়, যৌন নির্যাতন চালানো হয় এবং ফোনে ভিডিও ধারণ করা হয়।

বেঙ্গালুরু পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ছাড়াও অভিযুক্তদের মোবাইল থেকে আমরা আরও দুটি ভিডিও উদ্ধার করতে পেরেছি। ওই তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য ওই ভিডিওগুলো ধারণ করা হয়েছিল। অর্থ না দিলে তারা ওই ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।’

এমন নির্যাতনের পর ওই তরুণী পুলিশের সাহায্য না নিয়ে তার প্রেমিককে ফোন দিলে, একদিন পর ওই ঘর থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেন তার প্রেমিক।  এরপর তারা কোঝিকোড়িতে চলে যান।


সৌজন্যে : যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-৫

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.