আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

জামায়াতে ইসলামী এখন এনজিও!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২২ ০০:১৫:৪১

বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন উপস্থাপন করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন সুলিভান [ছবি: এনআরবি নিউজ

একাত্তরে পাকিস্তানি হায়েনাদের পাশে থাকা ওয়াশিংটন প্রশাসন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে এনজিও তথা বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে অভিহিত করেছে।

 মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সারাবিশ্বে ২০১৭ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতির আলোকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সচেতন প্রবাসীরাও হতভম্ব।

তবে এ প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সবিস্তারে উল্লেখের পর বলা হয়েছে, তাদের সাথে নির্দয় ও নিষ্ঠুর আচরণের দায় মিয়ানমার সরকারকেই নিতে হবে। মানবিক বিপর্যয়ের জন্যে তাদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার বাংলাদেশের আইনে থাকলেও ক্ষমতাসীন সরকার তা সীমিত করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে হচ্ছে।

তবে জামায়াতে ইসলামী নামক একটি ‘এনজিও’কে ঘরোয়া বৈঠকের অনুমতিও দেয়া হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন বলছে, এক সময়ের রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এখন এনজিও হিসেবে সভা করতে চেয়েও সে সুযোগ পায়নি।

গেল বছরের ৯ অক্টোবর ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে জামায়াতের আমির, ডেপুটি আমির, মহাসচিবসহ ৯ জনকে আটক করা। এ আটক প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল।

এ রিপোর্টে মিডিয়ার স্বাধীনতা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে , প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া খুবই সরব এবং নিজ নিজ মতামত নিঃসংকোচে প্রকাশ করছে। তবে যে সব মিডিয়া সরকারের সমালোচনা করে, তারা সরকারের পক্ষ থেকে নেতিবাচক পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। 

সংবিধানে বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিতের কথা বলা হলেও সরকার কখনো কখনো সে অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে না বলে রিপোর্টে উঠে এসেছে।

‘কথা বলার অধিকারের প্রতি সরকারের একটি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আবার কোানো কোনো সাংবাদিক সরকারের দমন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে  নিজে থেকেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন।’

আইন ও শালিস কেন্দ্রের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১৭ সালে ক্রস ফায়ারে ১৬২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ‘অধিকার’ নামক আরেকটি মানবাধিকার সংস্থার হিসেবে ১১৮ জনকে বিচার বহির্ভূতভাবে গেল বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত হত্যা করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

উল্লেখ্য, ৪২ বছরের প্রথা অনুযায়ী বিশ্বের ২০০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এবারের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন সুলিভান। তবে এই প্রতিবেদনের সূত্র, ভিত্তি ও আবেদন কতোটা জোরালো এমন প্রশ্নের জবাব স্পষ্টভাবে দিতে পারেননি ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই উপ-সহকারী মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন