Sylhet View 24 PRINT

খালেদার পাঁচটি মামলা হাইকোর্টের কার্যতালিকায়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-২৮ ১০:১৮:৪৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: কুমিল্লায় নাশকতার দুই ও নড়াইলে মানহানির এক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আদেশের জন্য সোমবার (২৮ মে) দিন ধার্য রয়েছে। অপরদিকে ঢাকার দুই মামলায় জামিন আবেদন সোমবারের কার্যতালিকায় উঠেছে।

প্রকাশিত কার্যতালিকায় হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চে এ পাঁচটি মামলার জামিন আবেদনের এমন চিত্র দেখা গেছে।
    
২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং হত্যা মামলায় জামিন আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া।
    
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি প্রধান। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারেও বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি। তার এ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়।
    
২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নামে এক ব্যক্তি এ সংক্রান্ত খবর পড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মানহানির মামলা করেন।

এ তিন মামলায় খালেদার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে রোববার (২৭ মে) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার (২৮ মে) দিন ধার্য করেন। সোমবার কার্যতালিকায় মামলা তিনটি আদেশের জন্য ১, ২ ও ৩ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
    
২০ মে কুমিল্লার দু’টি ও নড়াইলের একটি মামলায় জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ২১ মে ওই কোর্টের কার্যতালিকায় দু’টি  এবং পরে আরও একটি আবেদন ওঠে।

যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়া ও ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদার বিরুদ্ধে এ মামলা দু’টি দায়ের করা হয়।
    
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মানহানির একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
    
১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে অপর মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

এ দুই মামলায় ২২ মে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের আদালত থেকে হলফনামার জন্য অনুমতি নেওয়া  হয়। পরে আদালত ২৮ মে দুই মামলা কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন। সোমবারের কার্যতালিকায় মামলা দু’টি ১৮২ ও ১৮৩ নম্বরের ক্রমিকে রয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় করাগারে।
 
ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। যেটি গত ১৭ মে বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

এদিকে কুমিল্লার আরও একটি মামলায় জামিন চেয়ছেন খালেদা জিয়া। যেটি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের কোর্টে ১১৪ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

বিএনপি প্রধানের আইনজীবীরা বলছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অন্তত আরও ছয়টি মামলা রয়েছে, যেগুলোতে জামিন পেলেই কেবল তিনি মুক্তি পেতে পারেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি ও নড়াইলে একটি। বাকিগুলো ঢাকার।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ মে ২০১৮/ডেস্ক/আআ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.