আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

তারেককে ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় থাকতে পরামর্শ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৬-১৪ ২২:২৪:২৭

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ব্যাংকক থেকে লন্ডন সফর করে দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জানা গেছে, মির্জা ফখরুল তারেক রহমানে সঙ্গে দলের সাম্যক পরিস্থিতি নিয়ে লন্ডনে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছেন। এরমধ্যে দলীয় ঐক্য-অনৈক্য ও আগামী নির্বাচনে নেতাদের করণীয় সম্পর্কে সম্ভাব্য রূপরেখা তুলে ধরেছেন তিনি। তবে দলের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি স্বাভাবিকে আনতে ডিসেম্বর পর্যন্ত তারেক রহমানকে দলে নিষ্ক্রিয় থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন মির্জা ফখরুল। এতে রাজিও হয়েছেন তারেক। মির্জা ফখরুলের এমন ইঙ্গিতে বিএনপিতে নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

বলা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ফখরুল বিএনপিকে কুক্ষিগত করার পরিকল্পনা করছেন কী না তা ভাববার বিষয়।

চুপিসারে লন্ডনে গেলেন, ফিরলেনও নীরবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বৈঠক করে তিনি দেশে এলেন বলেই জানিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীদের। কিন্তু দলের নেতাদের সুনির্দিষ্ট করে তিনি বলছেন না, কী পেলেন লন্ডন থেকে?

দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল টেলিফোনে দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলেন। যাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের একজন জানিয়েছেন, ‘লন্ডনে তারেক-ফখরুলের বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। বেগম জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর দল যেভাবে চলছে তাতে তারেক সন্তুষ্ট হলেও তাতের গলদ রয়েছে বলে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন ফখরুল। ফখরুলের উপস্থাপনকেও গুরুত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, তারেক ভাইয়ের সঙ্গে ফখরুল সাহেবের হঠাৎ বৈঠককে দলের অভ্যন্তরে ঘোলাটে ছাঁয়া ফেলেছে। তিনি লন্ডন সফরের পর বেশ প্রফুল্লও। গুঞ্জন উঠেছে, তারেক ভাইয়ের সঙ্গে বৈঠকে কোনো বিশেষ মন্ত্র দিয়েছেন। দলের দায়িত্ব এখন ফখরুল সাহেবের হাতে। তিনি বিএনপিকে নিয়ে বৃহৎ রাজনীতিতে নেমে নিজেকে ফ্রন্টে আনতে চেষ্টা করছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি মহাসচিব নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপির করণীয় একটি রোডম্যাপ নিয়ে তারেক জিয়ার কাছে গিয়েছিলেন। আর এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফ্রি-হ্যান্ড চেয়েছিলেন। অর্থাৎ দল চালাতে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি পূর্ণ কর্তৃত্ব চেয়েছেন।

মির্জা ফখরুলের রাজনৈতিক কৌশলপত্রে ‘এরকম পরিস্থিতিতে সকল সমমনা শক্তির বৃহত্তর নির্বাচনী ঐক্য একটি আন্দোলনে রূপ নিতে পারে বলে বলা হয়েছে।’ সূত্র মতে, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী সহ যাদের ব্যাপারে তারেক জিয়ার আপত্তি আছে, তাদের ব্যাপারেও বিএনপি মহাসচিব কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল বুঝিয়েছেন, এখন আওয়ামী লীগকে হটানোই বড় কথা। সেজন্য সবাইকে এমনকি এরশাদকেও সঙ্গে নেওয়া যেতে পারে। এজন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত মির্জা ফখরুল তারেক জিয়াকে নিষ্ক্রিয় থাকার প্রস্তাব দিয়েছেন। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, তারেক জিয়া বিএনপি মহাসচিবের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। বেগম জিয়া মুক্তি না পেলে, তারেক দলের নামমাত্র ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আর এসময় বিএনপিতে কায়েম হবে ‘ফখরুল তন্ত্র’। আর ঈদের ছুটিতেই বৃহত্তর ঐক্যের জন্য কাজ শুরু করবেন বিএনপি মহাসচিব। তবে তা দলের কেউই সাদা চোখে দেখছেন না বলে জানায় দলীয় একাধিক সূত্র।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ জুন ২০১৮/ডেস্ক/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন