আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

তিনটি শর্ত পূরণ হলেই নির্বাচনে আসবে বিএনপি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৭-২০ ২০:৪১:৫০

তিনটি শর্ত পূরণ হলেই কেবল আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, ভোট সুষ্ঠু হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী ২০টি আসনও পাবে না।

বিএনপি মহাসচিবের শর্ত তিনটি হলো: ১. দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেয়া, ২. নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং ৩. ভোটে সেনা মোতায়েন।

শুক্রবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিশেষ করে খালেদা জিয়া কারাগারে থাকলে নির্বাচন হতে না দেয়ার ঘোষণা দেন ফখরুল। বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছে জনগণের প্রতিনিধি, তাকে জেলে রেখে এ দেশে কোন নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না।’

খালেদা জিয়াসহ সব ‘রাজবন্দীদের’ মুক্তি এবং বিএনপি নেত্রীর ‘সুচিকিৎসার’ দাবিতে রাজধানীতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।

বিকাল তিনটায় এ সমাবেশ শুরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসেন। কিছু শর্ত সাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি পেলেও সময় স্বল্পতার কারণে মঞ্চ তৈরির সুযোগ পায়নি বিএনপি। ফলে খোলা ট্রাকের মঞ্চ থেকে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

সমাবেশকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। কার্যালয়ের আশপাশে রাখা হয় জলকামানও।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনতে কোনো উদ্যোগ না নেয়ার কথা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। তবে এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে বলে জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের পুরনো দাবি আবার তুললেন ফখরুল।

দুই দফা আন্দোলনে নেমে খালি হাতে ঘরে ফেরা বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায়ের ঘোষণা দেয় সমাবেশে। আর এবার আন্দোলনে নামার আগে জাতীয় ঐক্য গড়ার ওপরও জোর দেয়া হয়।

বিএনপি নেতার দাবি, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগ ২০টি আসনও পাবে না। বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন দুর্নীতি, গুম, খুনসহ সারা দেশে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’

সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পান বলেই তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল। বলেন, ‘তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এখন দেশে নির্বাচনের নামে মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। দেশের সর্বত্র একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’

বামপন্থী আটটি দলের নতুন জোটকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ‘জাতীয় ঐক্যে’ তাদেরকেও শামিল হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল।

বলেন, ‘দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে অন্যান্য সব দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’

সরকারি চাকরিতে কোটা তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে কথা না রাখারও সমালোচনা করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদে বললেন কোটাই থাকবে না, এটা বাতিল করা হবে। পরে দেখা গেল উল্টো আন্দোলনকারীদের মিথ্যা মামলায়, গুম করে, মাথা মুড়ে বাড়িতে দিচ্ছে। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ অবস্থায় গেছে, বিদেশি দূতাবাসও এগুলো বন্ধ করতে বলছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।-ঢাকাটাইমস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন