আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

‘ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়’, ফখরুলকে বি.চৌধুরী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-২০ ২১:৩৩:৫৩

বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত চার দলের নতুন জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’কে স্বাগত জানিয়েছিল বিএনপি। সেই সঙ্গে বর্তমান সরকারকে হটাতে বৃহত্তর ঐক্য চেয়েছিল দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।

কে নেতা হবে তা নিয়েই গভীর সংকটে যুক্তফ্রন্ট। এই নেতৃত্ব নিয়ে সংকট যে শিগগিরই কাটছে না তা বলাই বাহুল্য। সেক্ষেত্রে দীর্ঘায়িত হয়ে পড়ল তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী(বি. চৌধুরী)।  ১৫ এপ্রিল ১৯৭৯ সালে তিনি জিয়াউর রহমান সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এসময় তিনি স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিএনপির মনোনয়নে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিভিন্ন সময়ে বিএনপির পাঁচবারের শাসনামলে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিএনপির জয়লাভের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান ও পরবর্তীকালে ১৪ নভেম্বর ২০০১ এ তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব লাভ করেন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিরপেক্ষ থাকার কারণ দেখিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিতে অসম্মতি জানিয়েছিলেন বি চৌধুরী। এই ঘটনার জের ধরে বি চৌধুরীকে এক প্রকার অপমান করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার।

পদত্যাগের পর তিনি বিকল্প ধারা বাংলাদেশ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন ও এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অদ্যাবধি তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

যুক্তফ্রন্টে যোগ দিতে ফখরুল আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রথম থেকেই। ফখরুল চেয়েছিল নতুন জাতীয় ঐক্যে বিএনপিকে যুক্ত করে যুক্তফ্রন্টে নেতৃত্ব নেওয়া। তবে বি চৌধুরী নেতৃত্ব ছাড়তে রাজি নন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফোন করে বি. চৌধুরীর সাথে কথা বলেছেন এ নিয়ে। বি. চৌধুরী বিএনপি মাহসচিবকে পূর্বের উল্লেখিত অপমানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়, আমি বিএনপির নেতৃত্বে যাব না আর। জাতীয় এক্যে প্রতিষ্ঠিত যুক্তফ্রন্টে বিএনপির নেতৃত্বে দেওয়া হবে না’।

শেষ পর্যন্ত বিএনপির সমর্থন বিহীন যুক্তফ্রন্ট বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে কতদূর আগাতে পারে তা সময়ই বলে দেবে।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন