Sylhet View 24 PRINT

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে বিনিয়োগ করছে বিএনপি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-২৩ ১১:৩১:৪২

খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে দলীয় ব্যর্থতা ও সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে এবার জাতীয় ঐক্য ও যুক্তফ্রন্টকে উল্টো অর্থ দিয়ে সহায়তা দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন চালাতে তৎপর হয়েছে বিএনপি। সেই লক্ষ্যে এবার জাতীয় ঐক্য ও যুক্তফ্রন্টের দুই নেতা ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর সহায়তা নিতে তাদের দ্বারস্থ হয়েছে বিএনপি।

বিএনপির ডোনারদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, কাড়ি কাড়ি অর্থ ব্যয় করেও খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ও সরকার বিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করা সম্ভব হয়নি। সুতরাং এবার ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর ভিন্ন ধারার আন্দোলনকে অনুসরণ করে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন বিএনপির ডোনারখ্যাত ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও মির্জা আব্বাস। তাদের পরামর্শ ও আদেশ অনুযায়ী লজ্জা-শরম ভুলে তাই ২১শে সেপ্টম্বর বি. চৌধুরীর বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে পয়সা খরচ করে দলীয় স্বার্থ আদায় করার লক্ষ্যেই মূলত মির্জা ফখরুলরা এক সময় তাড়িয়ে দেওয়া নেতা বি. চৌধুরী ও ড. কামালের কাছে ধারণা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবরে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, প্রায় আটমাস যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে ডোনাররা কোটি কোটি টাকা খরচ করে কোনো লাভ না দেখতে পারায় এই বিষয়ে আর এক পয়সা খরচ না করা প্রতিজ্ঞা নেন মিন্টু ও মির্জা আব্বাস। তাদের বক্তব্য, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন নামে টাকার হরিলুট করেছেন মির্জা ফখরুল ও রিজভী গংরা। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু শুধু পয়সার শ্রাদ্ধ হয়েছে।

সুতরাং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে ডোনার হতে রাজি হচ্ছিলেন না মিন্টু ও মির্জা আব্বাস। অবশেষে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে লন্ডন থেকে ফোন করে তারেক রহমান উভয়কে অন্তত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের পেছনে শেষবারের মতো বিনিয়োগ করার অনুরোধ করলে অনিচ্ছা সত্বেও রাজি হতে হয় তাদেরকে। খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে নির্বাচনে জয়ী হলে দুজনকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রলোভনও দেখান তারেক রহমান। তার এমন প্রলোভনে শেষবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনের আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দুই নেতা ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর কথিত মানুষ দেখানো ভাড়াটে নেতাদের আড্ডা অর্থাৎ নাগরিক সমাবেশের যাবতীয় খরচ বহন করতে রাজি হন মিন্টু ও আব্বাস। তাদের রাজি হওয়াতে তারেক রহমানের বিশেষ আদেশে বি. চৌধুরীর বাসায় হাজির হন মির্জা ফখরুল। কথা ছিল মির্জা ফখরুল প্ল্যান দিবেন। কিন্তু বি. চৌধুরী এবং ড. কামাল বিএনপির পঁচা বুদ্ধি নিয়ে রাজনীতি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য ছিল, বিএনপিকে এই ঘোর বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে স্বস্থির নিশ্বাস নিতে হলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আন্ডারে রাজনীতি করতে হবে। এছাড়া নির্বাচন পর্যন্ত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার যত অনুষ্ঠান-আন্দোলন হবে সেখানে প্রশ্ন ছাড়াই অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। এছাড়া আন্দোলনের পুরো অর্থ বি. চৌধুরী এবং ড. কামালের হাতে দিতে হবে। তবে এই অর্থের কোনো হিসাব চাওয়া যাবে না। তাদের এমন কঠিন সব শর্ত মেনে নিয়ে বিএনপিকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সহযোগী হিসেবে ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.